ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের। রাজ্যের কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণ (Community Transmission) শুরু হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবারই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। সেই মর্মে মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এই সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই), শনিবার (২৫ জুলাই) এবং আগামী সপ্তাহে বুধবার (২৯ জুলাই) রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
প্রতিদিনই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কোনওভাবেই তাতে লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে। সোমবার তা মেনে নেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরলে পর বাংলা, যারা গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করে নেয়। তবে তা নিয়েও ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই দিনগুলি রাজ্যের সর্বত্র সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে। ছাড় থাকবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা (থানা, দমকল, আদালত) ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা (দুধ, ওযুধের দোকান)। কৃষিকাজ, চা-বাগান ও কারখানা খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, এদিন ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণের ভারচুয়াল সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বললেন, ”ভয়ের কিছু নেই।” কেন বাংলার এই পরিস্থিতি, তাও ব্যখ্যা করলেন তিনি। বললেন, ”বাংলা অনেকগুলো সীমান্ত দিয়ে ঘেরা। নানা জায়গা থেকে নানা লোক আসে, রোগও আসে। টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট – এসবের মাধ্যমে রোগ মোকাবিলা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে, আরও বাড়ানো হবে। তবে ভাল কথা এই যে, রোগীদের মধ্যে ৮৭ শতাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। মাত্র ৫ শতাংশ রোগীর অবস্থা কিছুটা আশঙ্কার। তাঁদের ঠিকমতো ট্রেস করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, হয়তো তা চূড়ান্তভাবে তৈরিও হয়ে যাবে, সব আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। ভয়ের কারণ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.