সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে পর্যটক টানতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার৷ পর্যটন ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে এবার সান্দাকফুর বিকল্প ট্রেকিং রুট তৈরি হবে মিরিকে। হবে ইকো পর্যটন কেন্দ্রও। তরাই লাগোয়া মিরিকের চেঙ্গাখোলা-মাঞ্জাখোলাতেই হবে এই নয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা।
জঙ্গল, চা বাগান এবং পাহাড় ঘেরা রাস্তা৷ তারই মাঝখান দিয়ে অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকা ট্রেকিং করতে কার না ভাল লাগে? তরাইয়ের পানিঘাটার কাছে লোহাগড় সংলগ্ন এই এলাকাই এবার ডেস্টিনেশন হতে পারে সকলের৷ পর্যটকদের কথা ভেবেই সান্দাকফুর বিকল্প হিসাবে মিরিকে ট্রেকিং রুট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি অ্যাডভেঞ্চারেরও সুযোগ পাবেন সকলেই। পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানান হয়েছে, মাঞ্জাখোলা সংলগ্ন খপরাইল থেকে ট্রেকিং শুরু। পথে পড়বে পুটুং, ছোটা টিংলিং। রুটের একদিকে থাকবে বাংলার শেষ সীমান্ত গ্রাম খরবানি। অন্যদিকে নেপাল সীমান্ত। রয়েছে অসলে ফলস। ভিউ পয়েন্ট টিংলিং। দুর্গম বস্তি, চা-বাগান ও জঙ্গল ঘেরা অন্তত ২০ কিলোমিটার পথে ট্রেকিং শেষ হবে দু’দিনে। ট্রেকিং রুটের কাছেই থাকবে কটেজ। ট্রেকিং রুটের ওই জঙ্গল পথেই ট্রেকারদের রাতে থাকার ব্যবস্থা। তৈরি করা হবে পার্ক। আগের মতো অ্যাডভেঞ্চার অনুভব করেন না ট্রেকাররা। সেই অভাব পূরণ হবে মিরিকের নয়া ট্রেকিং রুটে। জঙ্গল পথে হরিণ, ময়ূর, বানর, এবং চিতাবাঘের দেখা মিলতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে এসে পর্যটন ব্যবসায় জোর দেওয়ার কথা বলে গিয়েছেন। এরপরই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। মিরিকের মহকুমা শাসক অশ্বিনী রায় বলেন, ‘‘জমি সমীক্ষার কাজ শেষ। এখন শুধুই পরিকল্পনা রূপায়নের কাজ। পরিকল্পনা কার্যকর করতে কত টাকা খরচ হবে তা নির্ধারণ করা হবে।” মিরিকের বিডিও অমিতাভ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। কটেজ এবং পার্ক তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। আপাতত এলাকার বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ হবে। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। মাঞ্ঝাখোলা-চেঙ্গাখোলাকে কেন্দ্র করে ইকো পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে ওই এলাকার বাসিন্দারাও আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.