শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ‘একতা যাত্রা’র মাঝে ৪৬ বছর আগের সহকর্মীকে পেয়ে আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। ১৯৭৭ সালে ব্যাংকের প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে জলপাইগুড়িতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। সেখানে তাঁর সহকর্মী ছিলেন জলপাইগুড়ি শহরের চার নম্বর ঘুমটি এলাকার বাসিন্দা অশোককুমার রায়চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকাই প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে হাজির হলেন রাজ্যপাল।
শুক্রবার প্রথম কর্মক্ষেত্র স্টেট ব্যাংকের জলপাইগুড়ি প্রধান শাখায় গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর কথা রয়েছে রাজ্যপালের। তার আগে হঠাৎই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রাক্তন সহকর্মী অশোককুমার রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে চলে যান রাজ্যপাল। অশোকবাবুকে সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন। দীর্ঘ সময় অশোকবাবুর পরিবারের সঙ্গে কাটান আনন্দ বোস। কর্মজীবনের সেই সময়ের স্মৃতিচারণা চলে দু’জনের মধ্যে। আত্মজীবনী লিখেছেন রাজ্যপাল ডঃ সি ভি আনন্দ বোস। তাতে জলপাইগুড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই কথা তৎকালীন সহকর্মী অশোককুমার রায়চৌধুরীকে জানান তিনি।
শিলিগুড়ি ফিরে যাবার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “রায়চৌধুরী খুব ভাল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর কাছেই আমি ব্যাংকিং শিখেছি। পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়ি ছিল আমার কর্মক্ষেত্র। সেই সময়ের অনেক স্মৃতি এখনও মনে রয়েছে।” অশোককুমার রায়চৌধুরী বলেন, “সেই সময় করণিক হিসেবে ব্যাংকে কর্মরত ছিলাম আমি। খুবই মেধাবী একজন কর্মী ছিলেন আজকের রাজ্যপাল। খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারতেন। খুব ভাল লাগছে এতো বড় একজন মানুষ হয়েও সেদিনের কথা ভোলেননি। রাজ্যপাল হয়ে কলকাতায় এসে ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছিলেন। আজ উপহার হাতে সশরীরে বাড়িতে চলে এলেন। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে সবকিছু”।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার জলপাইগুড়ি আসছেন রাজ্যপাল। পুরনো কর্মক্ষেত্র স্টেট ব্যাংকের প্রধান শাখা ঘুরে দেখার পাশাপাশি অসম মোড় মিশনারি অফ চ্যারিটি তে ও যাবেন রাজ্যপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.