শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ক্যাঙারু শাবক (Baby Kangaroo) উদ্ধার হল জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির গজলডোবা এলাকা থেকে দু’টি ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার করে বনদপ্তর। তার কিছুক্ষণ পরই বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের অন্তর্গত ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকা থেকে আরও একটি ক্যাঙারু শাবককে উদ্ধার করা হয়। শনিবার একই এলাকা আরও একটি ক্যাঙারু শাবকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বনদপ্তরের টহল দেওয়ার সময় ক্যাঙারু (Kangaroo) দু’টি বনকর্মীদের নজরে পড়ে। ঘটনার কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের ডাবগ্রাম রেঞ্জের অন্তর্গত ফাড়াবাড়ি নেপালি বস্তি এলাকায় এলাকায় আরও একটি ক্যাঙারু শাবক দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বনদপ্তরে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বনকর্মীরা। তৃতীয় শাবকটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলিকে পাচার করা হচ্ছিল। রাস্তায় বনকর্মীদের নজরদারি দেখতে ভয় পেয়ে হয়তো জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তায় তাদের ফেলে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ অসম-বাংলা সীমান্তের বারোবিসা এলাকায় পাচারের আগে একটি পূর্ণবয়স্ক ক্যাঙারু উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইমরাম শেখ ও ভায়েদ শেখ নামে হায়দরাবাদের দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তারও কর হয় । অন্ধ্রপ্রদেশের নম্বর প্লেটের একটি ট্রাকে করে ক্যাঙারুটিকে পাচার করা হচ্ছিল বলে খবর।
পরে ঘটনার তদন্ত করে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ১২ মার্চ উদ্ধার হওয়া ক্যাঙারুটিকে মিজোরামের একটি বেসরকারি প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে হায়দরাবাদে (Hyderabad) নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে একের পর এক ক্যাঙারু উদ্ধারের ঘটনার পেছনে এই পাচারচক্রের যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বনদপ্তর (Forest Department)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.