দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: একসময়ের সিপিএমের (CPM) দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা। বিগত মন্ত্রিসভায় তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাই মঙ্গলবার অসুস্থতার কারণে হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিলেন। পাশাপাশি তৃণমূলের জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাপ্রকাশও করেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার ভোটে প্রার্থী হননি রেজ্জাক। টানা দশবার বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। কখনও ভাঙ্গড় কেন্দ্র, কখনও বা ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্রথমে তিনি বিধায়ক হয়েছেন সিপিএমের। তখন তিনি ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৬ সালে তিনি ছিলেন তৃণমূলে। ঘাসফুল চিহ্ন নিয়ে ভাঙ্গড় থেকে তিনি বিজয়ী হয়ে মন্ত্রী হন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর সামলেছেন পাঁচ বছর।
এহেন রেজ্জাক মোল্লা এখন অসুস্থতা নিয়ে বাড়িতে একেবারে শয্যাশায়ী। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত ভাঙ্গড় ব্লকের দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়ি প্রাথমিক স্কুলের ১৩২ নম্বর বুথে এদিন দুপুরে তিনি ভোট দিতে আসেন। রেজ্জাক মোল্লার সঙ্গে থাকা তাঁর সঙ্গীরা হুইলচেয়ারে করে তাঁকে বাড়ি থেকে বুথে নিয়ে যান ভোট দেওয়ার জন্য। বাড়ীর কাছে ভোট কেন্দ্র হওয়ায় ভোট দিয়েই ঢুকে পড়েন নিজের ঘরে।
এর মাঝে বক্তব্য রাখেন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ”ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবে। তৃণমূল সরকার গড়বে। আমি অসুস্থ থাকার কারণে কোন প্রচারের অংশ নিতে পারিনি। কিন্তু ভোট দিলাম। যতদিন বেঁচে থাকব ভোট দিয়ে যাব। ভোট দিয়ে বেশ ভালো লাগছে।” রেজ্জাক মোল্লা ছাড়াও এ দিন সুভাষ নস্করও তাঁর নিজের ভোট কেন্দ্র চড়াবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমড়োখালি গ্রামে ভোট দিলেন। ভোট দেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শওকত মোল্লা, কুলতলির প্রার্থী গণেশ মণ্ডল, ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ রাম দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.