ছবি : প্রতীকী
রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। এবার আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) রাজনৈতিক হিংসায় ঝরল রক্ত। গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারের মথুরায় খুন হলেন তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি। অভিযোগের তির বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে একজনকে। এ নিয়ে এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান শেষে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আলিপুরদুয়ার ১ নং ব্লক মথুরা এলাকার বাসিন্দা দীপক রায়। সঙ্গে আরও কয়েকজন বন্ধু ছিলেন। দীপক এলাকার ১২/৪৪ নং বুথের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে সোনাপুর এলাকায় তাঁকে আটকায় একদল দুষ্কৃতী। এরপর গাড়ির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। কোপানো হয় তাঁকেও। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান দীপকের অন্যান্য সঙ্গীরা।
রাতদুপুরে এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। বুথ সভাপতি দীপক রায়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তাঁর মুখে ধারালো অস্ত্রের বেশ কয়েকটি আঘাত লক্ষ্য করা যায়। তড়িঘড়ি দীপক রায়কে উদ্ধার করে বাবুরহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনাপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। মর্মান্তিক এই খবর পৌঁছয় দীপকবাবুর পরিবারে। মাঝরাতে দুষ্কৃতী হামলায় এভাবে খুনের ঘটনার খবরে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁদের।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দীপক রায়কে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। জেলা বিজেপির তরফে এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে এবারের ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। জিতেছেন বিজেপির সুমন কাঞ্জিলাল। তারপর এ ধরনের হিংসার ঘটনা কেন ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। তবে কি জয়ের স্বাদ পেয়েই বিপক্ষের উপর এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ল গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.