সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফা তথা নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোট মিটতেই আবার গোটা রাজ্যে প্রচারে নেমে পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাঁর চোখে ধরা পড়া নন্দীগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে কোচবিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিলেন। শুক্রবার দিনহাটায় (Dinhata) কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন মমতা। সভা থেকে ডাক দেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাতে গেলে, ভয় পাবেন না। সবাই মিলে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আমি আপনারদের সঙ্গে আছি। আমি চুড়ি পরে বসে নেই।” শুধু বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করাই নয়, নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার ১ এপ্রিল ভোট মিটেছে নন্দীগ্রামে। ১০ এপ্রিল কোচবিহারে (Coochbihar) ভোট। তাই নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই পরের দিন সকালে উত্তরবঙ্গ পৌঁছে গিয়েছেন মমতা। সেখান থেকে তিনি ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে বলেন, “এমন করে নির্বাচনের তারিখ করেছে যাতে আমরা মিটিং করতে না পারি।” নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির কথায় চলছে সেই অভিযোগ ফের একবার তোলেন মমতা। কিন্তু তাঁকে আটকানোর যতই চেষ্টা হোক তিনি যে থামবেন না তাও বুঝিয়ে দেন। এমনকী ইলেকশন কমিশন ভোট পরিচালনা করছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভোট করছেন বলেও তোপ দাগেন মমতা। তবে ভোটে জিতে তিনিই ক্ষমতায় আসছেন বলে দাবি করার পাশাপাশি হুমকির সুরে বলেন, “ইলেকশন পর্যন্ত সহ্য করব। তার পর দেখব এই গুন্ডাগুলো কোথায় যায়।”
তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলেও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মমতা। এমনকী তাঁর আক্রমণ থেকে পার পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। মোদির বাংলাদেশ সফরকে কটাক্ষ করে মমতার অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে মতুয়া ভোট টানতে প্রধানমন্ত্রী প্রচার করেছেন। কিন্তু তিনি গত ২৫ বছর ধরে মতুয়াদের পাশে আছেন।
শুধু বিজেপি নয়, সংখ্যালঘু ভোট যাতে আব্বাস সিদ্দিকি ভাঙাতে না পারেন, সেদিকেও নজর দেন মমতা। আব্বাসকে ‘বাচাল’ বলে কটাক্ষ করেন। সেই সঙ্গে আরও একবার আবেদন করেন, যাতে রাজ্যে ২০০-র বেশি আসন পায় তৃণমূল। না হলে বিজেপি বিধায়ক কিনে নেবে। আর তা হলে সব জনমুখী প্রকল্প বিজেপি বন্ধ করে দেবে বলে অভিযোগ করেন মমতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.