ছবি: প্রতীকী
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিজেপি ও তৃণমূল সংঘর্ষে সশস্ত্র হামলা, ভাঙচুর, পালটা হামলায় ভোটপঞ্চমীতে তেতে উঠল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিধানসভা এলাকা।
এদিন দুপুরে প্রথম ঘটনাটি ঘটে আরারী গ্রামে। দলীয় কর্মীদের ভোট প্রচারের (Bengal Polls 2021) র্যালি চলাকালীন বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তারা তৃণমূল আশ্রিত বলেই দাবি বিজেপির। ভাঙচুর চলে দলীয় প্রার্থীর গাড়িতে। এলোপাথাড়ি হামলায় অন্তত ছ’জন জখম হন। উলটোদিকে চোপড়ায় (Chopra) তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয় বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। চোপড়া ও ইসলামপুরে পুলিশ পৌঁছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বিজেপি প্রার্থী শাহিন আক্তারের অভিযোগ, “ভোট প্রচারের সময় আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সরে যাওয়ায় কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। গাড়ির কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। মারধরে অন্তত ছ’জন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভরতি।”
অন্যদিকে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি আজারুদ্দিনের অভিযোগ, “আরারী গ্রামে প্রচার করতে গিয়েছিল বিজেপি। সেখানে মহিলাদের কটূক্তি করা হয়। এমনকী ছিঁড়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের ব্যানার-ফেস্টুন। এমনকী ভাঙচুর করা হয় নির্বাচনী কার্যালয়ও। এই কারণে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী বিজেপি কর্মীদের উপরে চড়াও হয়।” এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের পালটা দাবি, “চোপড়ার তৃণমূল প্রার্থী হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল আবার বলেন, “বিনা অনুমতিতে প্রচার করতে গিয়েই অশান্তি বাধে।”
ইসলামপুর পুলিশ সুপার শচীন মক্কার অবশ্য বলছেন, “ঘটনাস্থলে বিজেপির প্রচারের অনুমতি ছিল না। তাই বিনা অনুমতিতে র্যালি করার জন্য কমিশনের তরফে থানায় অভিযোগ করা হবে।” তাছাড়া কেউ জখম হয়ে হাসপাতালে ভরতি নেই বলেই দাবি করেন পুলিশ সুপার। তবে অশান্তি এড়াতে চোপড়া ফুটবল ময়দানে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.