সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিলিগুড়ি থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ, ওই দম্প্রতি দিল্লি-সহ দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে নানা বয়সের মেয়েদের চাকরির লোভ দেখিয়ে এ রাজ্যে নিয়ে আসত। পরে তাঁদের আধার কার্ড বা অন্যান্য পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে ডান্স বারে নাচতে বাধ্য করত। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে বলে জানানো হয়েছে শুক্রবার। তাদের কবজা থেকে দুই যুবতীকেও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ।
ধৃত সুবীর দাস(৩২) শিলিগুড়ির ও সিমরন(২১) হরিয়ানার ফরিদাবাদের বাসিন্দা। গত ২৯ অক্টোবর শিলিগুড়ির একটি গেস্ট হাউস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই গেস্ট হাউসেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে কিশোরী, যুবতীদের এনে লুকিয়ে বন্দি করে রাখা হত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে তাঁদের শিলিগুড়িরই কসমস মলে ‘দাস’ বারে নাচতে বাধ্য করা হত। ওই যুবতীরা হুমকিতে রাজি না হলে চলত মারধর, নিগ্রহ। যুবতীদের চাকরির লোভ দেখিয়ে আনা হত। পরে তাঁদের আটকে রেখে, খেতে না দিয়ে ডান্স বারে নাচতে বাধ্য করা হত। কথা না শুনলে চলত নিগ্রহ।
দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার জানিয়েছেন, দিল্লি-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে সুন্দরী কিশোরী, যুবতীদের খুঁজে আনতে সিমরনকে নিয়োগ করে সুবীর দাস। প্রতিটি ‘শিকার’-এর জন্য সিমরন পেত ১০ হাজার টাকা। সম্প্রতি দুই যুবতী গোপনে পুলিশকে খবর দেয়, তাঁদের শিলিগুড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। জয়পুরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সিমরন তাঁদের এ রাজ্যে নিয়ে আসে। কিন্তু এ রাজ্যে আসতেই ওই দুই যুবতীকে ডান্স বারে নাচতে চাপ দেয় সুবীর। ওই যুবতীরা যাতে পালিয়ে না যেতে পারে, তার জন্য তাঁদের আধার কার্ড, মার্কশিট রেখে দিত সুবীর। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নারীপাচার ও নাবালিকাদের শ্রমিকের মতো খাটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.