Advertisement
Advertisement
WB CM Mamata Banerjee warns authority

Mamata Banerjee: ‘রাস্তা না হলে লোকে ভোট দেবে না’, প্রশাসনিক বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজালেন মুখ্যমন্ত্রী

উন্নয়নই রাজ্যবাসীর মন জয়ের হাতিয়ার, তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

WB CM Mamata Banerjee warns authority, reminds of Panchayat Election । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 29, 2022 8:01 pm
  • Updated:June 29, 2022 8:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট বৈতরণী পার করতে উন্নয়নই যে মূল হাতিয়ার, তা আরও একবার সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কার্যত পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজালেন তিনি। প্রশাসনিক কাজের উপরেই দিলেন গুরুত্বও।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা তৈরির উপর বিশেষ জোর দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের আগেই রাস্তা তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করুন। দেখবেন, রাস্তা দেখেই লোকে ভোট দিয়ে যাবে। নইলে ভোট এসে যাবে আর বসে ললিপপ খাবেন।” রাস্তা তৈরির কাজ যে কোনও উপায়ে করতেই হবে তা স্পষ্ট করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের পরামর্শ , “প্রয়োজনে মাথায় করে ইট বয়ে দেবেন। দরকার হলে আমাকে ডাকবেন। আমি আগে এরকম করেছি।” পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের উপরেই রাস্তা তৈরির কাজের ভারও দেন তিনি। কারণ, বিভিন্ন কাজের মোট খরচের ১৫ শতাংশ অর্থ বর্তমানে সরাসরি জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির হাতেই আসে। তিনি আরও বলেন, “আপনাদের অন্য কাজ করতে হবে না। এখন শুধু রাস্তাটা করুন। অর্ধেক টাকায় রাস্তা করুন। বাকি টাকা অন্য খাতে খরচ করবেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: টোটোচালক, চিকিৎসক, সবাইকে ডেকে হেনস্তা করছে CBI, দুর্গাপুর থেকে ফের তোপ মমতার

বিরোধীদের নানা অভিযোগ সত্ত্বেও একের পর এক নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল। সাধারণ ভোটারদের মন জয় করেছে ঘাসফুল শিবির। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এক্ষেত্রে উন্নয়ন যে একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উন্নয়নেই মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ জোর দিচ্ছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।

এছাড়া পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের বিধায়কদের প্রশ্ন করেন তাঁরা ধান বুনতে কিংবা কাটতে পারেন কি না। এই প্রসঙ্গে কথা বলার ফাঁকে নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তোমরা কী জানো, আমি ধান বুনতে ও কাটতে পারি। আমারও কিন্তু একটা গ্রাম আছে। সকলের থেকে ভাল ধান পুঁতে দেব। কেটেও দেব। ছোটবেলায় শীতকালে মামাবাড়ি যেতাম। যে ধান পড়ে থাকত সেটা জমাতাম। আগে গ্রামের দোকানে ধান দিয়ে জিনিস পাওয়া যেত। সেই জমানো ধান দিয়ে আমরা আলুর চপ খেতাম, চুলের ফিতে কিনতাম। আমি জানি না, এখনও এরকম বিনিয়ম চলে কি না।”

[আরও পড়ুন: ‘ভুল তথ্য ছড়াবেন না, দরকারে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করুন’, রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ কুণালের]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement