রঞ্জন মহাপাত্র,কাঁথি: তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, তাতে কি! মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় খারাপ ফলের পর সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শোনাই যে ঘুরে দাঁড়ানোর উপায়, তাও হয়তো ভালভাবে অনুধাবন করতে পেরেছেন মমতা। সেকারণেই হয়তো সোমবার দু’দফায় তাঁকে দেখা গেল সরাসরি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে। প্রথমে হাওড়ার বসতি এলাকায় তারপর দিঘার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। শুনলেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা।
সোমবার বিকেলে হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে দিঘায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী, জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস এবং জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। দিঘা পৌঁছেই মমতা এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। জেলার সাংসদ, মন্ত্রীকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়েও পড়েন তিনি। অলংকারপুর লাগোয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পদিমা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মৈত্রাপুর গ্রামে একটি মাটির বাড়ি নজরে পড়ে তাঁর । সোজা ওই বাড়ির সামনে হাজির হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী । গ্রামে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে চমকে যান বাসিন্দারা। রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কেউ বাড়ি থেকে চেয়ার বের করে আনেন, তো কেউ ছোটেন মমতার জন্য চা বানাতে।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরে সংকট’, বিশ্ব মানবতা দিবসে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে টুইটারে উদ্বেগ মমতার
ওই এলাকায় বসেই কচিকাঁচাদের কাছে ডেকে নিয়ে নিজের হাতে চকোলেট বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্পও করেন বেশ কিছুক্ষণ। গ্রামেরই দুই বাসিন্দা গজেন্দ্র সিং ও নরেন্দ্র সিং মাটির বাড়িতে থাকেন। তাঁরা কেন আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি পাননি? জানতে চান মমতা। জেলাশাসক পার্থ ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, দ্রুত ওই দুই পরিবারকে বাংলা আবাস যোজনার আওতায় আনতে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। মুখ্যমন্ত্রী কথাও বলেন তাঁদের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, গ্রামের মহিলাদের হাতে তৈরি চা-ও পান করেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির উঠোনে বসে চা খাওয়ায় খুশি গ্রামের সাধারণ মানুষ। এরপর পুরনো দিঘায় সৈকতে দীর্ঘ সময় হাঁটতে থাকেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.