নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ট্রেনে চড়ে মালদহ থেকে ফেরার পথে ফের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে ট্রেন থামতে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রী। বীরভূমে আসলে মামাবাড়ি কুসুমবা এবং চাকাইপুরে আদিপুরুষের ভিটেতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।
একাধিক কর্মসূচিতে গত বুধবার দুপুরের ট্রেনে মালদহের উদ্দেশে রওনা হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী ফিরহাদ হাকিম। কর্মসূচি সেরে শুক্রবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চড়ে ফিরছিলেন তিনি। দলনেত্রী ট্রেনে সওয়ার বলে কথা, সে খবর পাওয়ামাত্রই রামপুরহাট স্টেশনে ভিড় জমান দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। ছিলেন বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন ভকত, ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। ট্রেন থামতেই দরজার সামনে চলে আসেন মমতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ছোটবেলার কথা তুলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মমতা। পরেরবার বীরভূম সফরে গেলে তাঁর মামাবাড়ি কুসুমবা এবং চাকাইপুরে আদিপুরুষের ভিটেতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কুসুমবার কুসুমাক্ষী মন্দিরের কাজ কতদূর হয়েছে, তার খোঁজখবর নেন। ইতিমধ্যেই রক্ষাকালী মন্দিরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় আরেকটি ছোট মন্দিরও সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা। মমতা বলেন, “অনেক কিছু করেছি। আরও করব। একটু অপেক্ষা করুন।” তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের কাজের গতি নিয়েও খোঁজখবর নেন। এছাড়া রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমআরআইয়ের বন্দোবস্ত করারও দাবি জানান সকলে।
সাঁইথিয়া স্টেশনেও জনসংযোগ সারেন মমতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত। মমতার হাতে নন্দিকেশরী দেবীর ছবি তুলে দিতে যান পুরপ্রধান। তবে ভিড়ের মাঝে ফটোফ্রেমের উপরে থাকা কাচ ভেঙে যায়। তাই দেওয়া যায়নি ছবি। পরে ওই ছবি পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন মমতা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.