সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ ইস্যুতে রাজভবন ও নবান্নের সংঘাত তুঙ্গে। বারবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সি ভি আনন্দ বোসকে বেনজির তোপ মমতার।
ঝাড়গ্রামের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে রাজ্যপালকে দুষলেন মমতা। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলে আমরা শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। এখন জঙ্গলমহলবাসী অনেক ভাল আছেন। ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি আমরা। আর আমাদের রাজ্যপাল কালো চশমা পরে জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা পাঠালেও ফাইলে সই করেন না। অথচ কেরল থেকে নিয়ে এসে উপাচার্য করে দিচ্ছে। মনে রাখতে উপাচার্য হতে গেলে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। আলিয়ায় একজনকে ভিসি করেছেন যার শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে না আছেন উপাচার্য, আর না আছেন রেজিস্ট্রার। সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না কাউকে। আমি মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করছি ব্যবস্থা করার। আজই আমি উপাচার্য স্থির করব। আমি জানি উপাচার্য করতে গেলে ৩টি নাম পাঠাতে হয়।”
রাজ্যপালকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে মমতা বলেন, “রাজ্য বিধানসভায় যে বিলটি পাশ হয়েছে সৎ সাহস থাকলে তাতে সই করে দিন। ছাত্রছাত্রীদের ডেকে বলছে দুর্নীতি, দাঙ্গা কাকে বলে। এটা রাজ্যপালের কাজ? না রাজ্যপালের কাজ সংবিধানে সীমাবদ্ধ করা আছে। গায়ের জোরে রাজ্য কিনে নিতে পারেন না। বলছে মুখ্যমন্ত্রী যা করছে আমিও তাই করছি। আপনি তাহলে দল তৈরি করুন। ভোটে জিতে আসুন। বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। যদি জিততে পারেন। ১০০ বছরেও হবে না।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তা নিয়ে কাটাছেঁড়া কম হয়নি। তবে রাজ্যপাল বোসের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্ক ভালই ছিল। রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় রাজভবনে। তবে তারপর থেকেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে হিংসা নিয়ে বারবার সুর চড়ান রাজ্যপাল। শিক্ষাক্ষেত্রেও দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। আর তার জেরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ ক্রমশ চড়ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.