নব্যেন্দু হাজরা: দু’জনেই জিতেছেন পাশপাশি ওয়ার্ড থেকে। ফলাফল বেরনোর পর দুজনেই সবুজ আবিরে মাখামাখি একদম। তাঁদের জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা হাজার-হাজার কর্মী, সমর্থক। সবকিছু মিটিয়ে দু’জনে যখন বাড়ি ফিরলেন, তখন স্ত্রী ঋতুপর্ণা আচমকাই স্বামী শুভজিতের হাতে তুলে দিলেন লাল গোলাপ। সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র (Valentine’s Day) শুভেচ্ছো। যা দেখেশুনে খুশি স্বামী।
চন্দননগর পুরনিগমের (Chandannagar Municipal Corporation) ভোটে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার জিতেছেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী শুভজিৎ সাউ। আর পাশের ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন ঋতুপর্ণা সাউ মণ্ডল। শুভজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি করেন। স্ত্রীও এবার দ্বিতীয়বারে জন্য কাউন্সিলর নির্বচিত হলেন। ভোটের রেজাল্টের টেনশনেও স্ত্রী যে প্রেমের দিনটাকে ভুলে যাননি, তা দেখে আপ্লুত শুভজিৎ। তিনি ঘরে ফিরতেই প্রেমের ফুল লাল গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানালেন স্ত্রী। দু’জনের সবুজ আবিরমাখা মুখে তখন প্রেমের ছটা। শুভজিতের কথায়, “আমার গিফটটা এখনও দিয়ে উঠতে পারিনি। এই ক’দিন ভোটের চাপ সামলাতে গিয়ে সব ভুলতে বসেছিলাম। তবে ভ্যালেন্টাইনস ডে’টা ও যে ভোলেনি, তাতে ভালে লাগছে। মানুষ যে পরিমাণ ভালোবাসা আমায় দিয়েছেন, সেটাই ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বড় উপহার।”
শুভজিতের বাবা অশোক সাউ একসময়ের বিধায়ক এবং চন্দননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র। তিনি যে ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতেন, সেই ১২ নম্বরেই এবার প্রার্থী হয়েছেন পুত্রবধূ ঋতুপর্ণা। তবে শুভজিতের ওয়ার্ড বদল হয়েছে। তিনি গতবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতলেও এবার দাঁড়িয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তাই নতুন ওয়ার্ড নিয়ে টেনশন কিছুটা বেশিই ছিল বলে জানাচ্ছেন শুভজিৎ। তাঁর লড়াইও ছিল কঠিন। তিনি জিতেছেন ৬৩০ ভোটের ব্যবধানে। আর স্ত্রী জিতেছেন ১৭৫৯ ভোটে। জয়ের পর স্বভাবতই খুশি ঋতুপর্ণাও। বলেন, “যতই ভোটের ময়দানে লড়াই করি, ভালবাসার দিনটা কি ভোলা যায়?” আর এবার তো ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে উপরি পাওনা, দম্পতির জোড়া জয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.