সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্টোবরের শুরু থেকেই প্যাকেটজাত নয় এমন মিষ্টির ট্রে-তে ‘বেস্ট বিফোর’ লেখার নির্দেশিকা জারি করেছে FSSAI। শুধু তাই নয় প্যাকেটজাত মিষ্টিতেও উল্লেখ থাকতে হবে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ও। তবে তাতেই আপত্তি রয়েছে বাংলার মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের। তাঁদের দাবি, বাংলার মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মীরা সকলেই শিক্ষিত নন। তাই তাঁদের পক্ষে ‘বেস্ট বিফোর’ ট্রে-র গায়ে লেখা এবং সেই অনুযায়ী বিক্রি করা কার্যত অসম্ভব। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন বাংলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। এই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narebdra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) চিঠি লিখেছেন তাঁরা।
সামনেই উৎসবের মরশুম। সেই সময় মিষ্টির চাহিদা থাকে অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে অনেক ক্রেতাই মিষ্টি খারাপ হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মিষ্টির ট্রে-তে ‘বেস্ট বিফোর’ (Best Before) লেখার সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছে FSSAI। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন ফুড সেফটি কমিশনার। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে প্যাকেটজাত নয় এমন মিষ্টির (Sweet) ক্ষেত্রে ট্রে-তে লিখে রাখতে হবে ‘বেস্ট বিফোর’। প্যাকেটজাত মিষ্টিতে লিখতে হবে ‘এক্সপায়ারি ডেট’ (Expiary Date)। উপাদানের উপর নির্ভর করে প্রতিটি মিষ্টির ‘বেস্ট বিফোর’ নির্ধারণ করা হবে। রসগোল্লা, রসমালাইয়ের মতো মিষ্টি দু’দিনের বেশি রাখা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ‘বেস্ট বিফোর’ এবং ‘এক্সপায়ারি ডেট’ লিখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন নির্মাতা সমিতির যুগ্ম সচিব আশিস পালের বক্তব্য, FSSAI-এর এই নির্দেশিকা কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব। কারণ, ছোট ছোট মিষ্টির দোকানের কর্মীরা শিক্ষিত নন। তাই তাঁরা ‘বেস্ট বিফোর’-এর তালিকা তৈরি করতে পারবেন না। এমনকী তাঁরা সেই তালিকা মিলিয়ে কাউকে মিষ্টি দিতেও পারবেন না। তার ফলে মিষ্টি শিল্প মার খাওয়ার আশঙ্কা করছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.