বাবুল হক, মালদহ: বিজেপি প্রার্থীতালিকা ঘোষণা শুরু করার পর থেকেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে অশান্তি। একই ছবি দেখা গিয়েছে মালদহে (Maldah)। ‘নিরক্ষর’ মতিউর রহমানকে হরিশচন্দ্রপুরের প্রার্থী হিসেবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের বহুদিনের সৈনিকরা। শোনা যাচ্ছে, সেই কারণেই ওই আসনের প্রার্থী বদল করতে পারে বিজেপি।
তৃণমূল (TMC) একবারে ২৯১ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও দফায় দফায় তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। দেখা গিয়েছে, বহুদিনের বিজেপি কর্মীরা টিকিট না পেলেও তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে আসা বহু নেতাই বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন। ফলে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। রাজ্যের প্রায় সব জেলার ‘আদি’ বিজেপির কর্মীরা প্রার্থীবদলের দাবিতে পথে নেমেছে। একই পরিস্থিতি মালদহেও। ওই জেলার চারটি আসনেরই প্রার্থীবদলের দাবি তুলেছিলেন কর্মীদের একাংশ। বাকি আসন নিয়ে জটিলতা পরবর্তীতে মিটে গেলে হরিশচন্দ্রপুরে মতিউর রহমান কিছুতেই মানতে রাজি নন দলের বহুদিনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের কথায়, মতিউর রহমানকে ভালভাবে চেনেনই না কেউ। উনি ওই এলাকার বাসিন্দাই নন। এছাড়া বিজেপির সঙ্গে ওনার সম্পর্কও বেশিদিনের নয়। বিজেপির একাংশের অভিযোগ, মতিউর রহমান নিরক্ষর। সই করতেও পারেন না তিনি। ফলে এমন একজন জিতলে কীভাবে বিধায়ক পদের দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষুব্ধরা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মতিউর রহমানের প্রার্থীপদ (BJP candidate) বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক করেছে জেলা নেতৃত্ব। রাজ্যের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের ধারনা কেন্দ্র বিষয়টি বিবেচনা করে মতিউরকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু কেন সমস্ত দিক বিচার না করে প্রার্থী করা হয়েছিল মতিউরকে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, মতিউরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মালদহের বিজেপি নেতাদের একাংশ যে অভিযোগ তুলছে তা আদৌ সঠিক কি না তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.