সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষষ্ঠ দফার ভোটে বাগদায় পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা গুলি চালানোর অভিযোগ সত্য, জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে শীতলকুচির মতোই এদিনও আত্মরক্ষার স্বার্থেই পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে বলেই দাবি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র।
বৃহস্পতিবার ভোট শুরুর পর থেকেই বাগদা (Bagda) বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে আসে। সকালেই সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি। পরে বিকেলে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাগদার রণঘাটে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কোনও কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ১০ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানা যায়। জখম হন বেশ কয়েকজন। পালটা আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার রিপোর্ট তলব করে কমিশন।
তবে কমিশনের দাবি, এদিন একটি রাজনৈতিক দলের শতাধিক কর্মী সেক্টর অফিসে হামলা চালিয়েছিল। ওসির নেতৃত্বে সেখানে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই সময়ই উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। সেই কারণেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। যদিও কমিশন জানিয়েছে ১০ রাউন্ড নয়, ৩ রাউন্ড গুলি চলেছে বাগদায়। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ৪ জনের। পরবর্তীতে কমিশন জানায়, আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। এবার কার্যত সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাগদায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.