হিলিব্লকের বিনশীরা গ্রামপঞ্চায়েতের বাঙালিপুর গ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসুর রূপে তৈরি মূর্তি। ছবি: রতন দে।
রাজা দাস, বালুরঘাট: রাজ্যে চার দফা নির্বাচন মিটেছে। বাকি এখনও ৪ দফা। নির্বাচনের আগে বাকযুদ্ধ আর অভিনব প্রচারে সরগরম গোটা রাজ্য। তেমনই এক প্রচার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি (Hili) এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হিলির জামালপুর এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দুর্গা সাজিয়ে একটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। আর সেখানে ‘অসুর’ রূপে দেখানো হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। শোরগোল হতেই মূর্তিটি কেউ বা কারা সরিয়ে নেয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের তরফেই এই কাজ করা হয়েছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, জামালপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে মূর্তিটি দেখা যায়। সেটি দেখতে নিমেষে ভিড়ও জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মূর্তিটিতে দেখা যায়, উন্নয়নের ত্রিশূল দিয়ে অসুরকে বধ করছেন দুর্গারূপী মমতা। দেবীরূপী মমতার দশ হাতে রয়েছে রাজ্য সরকারের চালু করা কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, যুবশ্রীর মত প্রকল্প। এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘অসুর’ রূপে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। পরে সকলের অলক্ষ্যে সেই মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপরেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা রঞ্জন দাস বলেন, “আমাদের গ্রামে একেকজন একেকটি রাজনৈতিক দল করলেও কোনও বিবাদ নেই। ভোট হোক বা না হোক, এখানে সৌহৃদ্য বজায় রাখেন সকলে। একই চায়ের দোকানে আড্ডা দেয় সকলে। তাই এ ধরনের ঘটনাটি কাম্য ছিল না। আমরা এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে তৃণমূলের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরে তারাই সেই মূর্তি সরিয়েছেন।” তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই বিতর্কিত মূর্তি রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। অপরদিকে, তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “প্রতিপক্ষকে আমরা সব সময় বিপজ্জনক ভাবি, অসুরসম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার দুর্গা হিসেবে ভাবি আমরা। তাই আমাদের সমর্থকরা সেভাবেই প্রচার করেছেন। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, যার চেয়ারটার সন্মান অনেক। তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে ‘ও দিদি’ বলে ডাকেন। সেটা যখন বিজেপির ভাইদের ভাল লাগে, তবে এটাও ভাল লাগা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.