রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় থাকবেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। তবে ২৪ তারিখের ওই সভা থেকে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, গেরুয়া শিবিরের তরফে সাংসদকে প্রধানমন্ত্রীর সভার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবারের শাহের এগরার সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আরেক সাংসদ তথা দিব্যেন্দু-শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীও। এবার কি সেই পথেই হাঁটছেন তাঁর আরেক ছেলেও? উঠছে প্রশ্ন।
অমিত শাহের সভা থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেছিলেন, রামনবমীর আগেই তাঁর বাড়িতে আরও পদ্ম ফুটবে। সেই থেকেই শুরু হয়েছিল কানাঘুষো। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিল, শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর পথে হেঁটে বিজেপিতে যেতে পারেন শিশির ও দিব্যেন্দুও। ইতিমধ্যে ‘ফুল’ বদল করে ফেলেছেন শিশির অধিকারী। এবার কি তবে তমলুকের সাংসদের পালা? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে আটটি প্রশাসনিক পদ ছাড়েন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ছাড়েন স্বাস্থ্যদপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধির পদও। সাংসদের এই পদত্যাগ স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছিল তাঁর দলত্যাগের জল্পনা। কিন্তু এর পর এক মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও তৃণমূল ছাড়েননি দিব্যেন্দু। অথচ বিভিন্ন সময় তাঁকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। উলটে বলেছিলেন, তিনি ‘দিদির অনুগামী’।
এদিকে শাহের সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির হয়ে প্রচার শুরু করেছেন শুভেন্দু-দিব্যেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী সভায় থাকবেন তমলুকের সাংসদ। উল্লেখ্যযোগ্যভাবে, এটা কোনও সরকারি অনুষ্ঠান নয়, বরং দলীয় প্রচারে কাঁথি আসবেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) সাংসদের উপস্থিতি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.