সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ভেদাভেদ করছেন মমতা, এমন অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কিন্তু প্রতিবারই সেই সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছেন জননেত্রী। বুধবারও সমস্ত মিথ্যা প্রচার উড়িয়ে শীতলকুচির আরেক নিহত যুবক আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথমবার ভোট দিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দের। তৃণমূল নেত্রী তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত নন বলে বারবার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। এমনকী, আনন্দকে নিজের দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপিও। আনন্দের পরিবারের কেউ তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না বলেও খবর ছড়িয়েছে। এদিন সেই সমস্ত প্রচার উড়িয়ে আনন্দের দাদু ক্ষীতিশচন্দ্র রায় তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কাছ থেকে পরিবারের সকলের খবরাখবর নেন মমতা। বলেন, “যাকে হারিয়েছি, তাকে তো আর পাব না। তবে তাদের পরিবারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখব আমরা। ভোট মিটলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।” আনন্দের দাদু জননেত্রীর হাত ধরে আবেদন করেন, “আমার টাকা-পয়সা চাই না। নাতিটার মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক। দোষীদের খুঁজে বের করা হোক।” ক্ষমতায় এলে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন মমতা।
শীতলকুচির নির্মম হত্যাকাণ্ডে বিজেপি বারবার অভিযোগ করে এসেছে, আনন্দ বর্মনের নামই নিচ্ছেন না মমতা। সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে এদিনের সভায় প্রথমেই আনন্দের নাম নিলেন জননেত্রী। তাঁর বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে উঠে এল আনন্দের নাম। এমনকী, মঞ্চেও আনন্দ বর্মনের নাম লেখা ছিল। ধুপগুড়ির সভা থেকে মমতার আশ্বাস, “যারা গুলি করে মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। অন্যায় যদি রাজবংশীর সঙ্গে হয়, আমি দাঁড়াব পাশে। অন্যায় যদি সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হয়, আমি দাঁড়াব পাশে, অন্যায় যদি যুবসমাজের সঙ্গে হয় আমি দেখব। এটা গণহত্যা। কখনও হয় না এমন। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমি ছেড়ে কথা বলব না।” তৃণমূলনেত্রী এদিনও প্রমাণ করলেন জাতপাত-দলমত নির্বিশেষে সকলেই তাঁর কাছের মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.