ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মরসুমে ‘পিটিয়ে খুন’ বিজেপির (BJP) কর্মীকে। পঞ্চম দফা নির্বাচনের পরদিনই নদিয়া জেলার চাকদহ বিধানসভা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল গেরুয়া শিবিরের কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মীর খুনের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
চাকদহ (Chakdah) বিধানসভার রাওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডল পাড়া এলাকার বাসিন্দা দিলীপ কীর্তনিয়া। এলাকায় তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। দিলীপবাবু ভোটের দিনও বুথের বাইরে ক্যাম্প সামলেছেন বলে খবর। অভিযোগ, শনিবার বুথেই কে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তার আবার এলাকায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এর পর রাতে ১১টার পর তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় কেউ বা কারা। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। রবিবার সকালে বাড়ির উঠোনের পাশে ঝোপে দিলীপবাবুর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁর নাক, মুখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল। সঙ্গে সঙ্গে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের সামনে উপস্থিত পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ চলছে বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁচেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি, দিলীপকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এমনকী, পালপাড়া স্টেশনে রেল অবরোধও করা হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্যস্তরে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পোলিং এজেন্টকে বাড়ি থেক ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করছে ওরা। বিজেপি করা তৃণমূলের কাছে অপরাধ। দলের উপরতলা থেকে বিরোধী শূন্য রাজনীতি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওদের কর্মীদের। তাই দলের নিচুতলার কর্মীরা খুনোখুনি করছে। দোষীদের শাস্তি চাই।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বরানগরের প্রার্থী তাপস রায় বলেন, “উনিশের লোকসভার পর রাজ্যে খুনোখুনির রাজনীতি আমদানি করেছে বিজেপি। এই ধরনের রাজনীতি করে ওরা আনন্দ পায়। কিন্তু তদন্তের আগে কীভাবে এটাকে খুন বলে দেওয়া যায়? কীভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা যায় তা আমার জানা নেই। তদন্ত হোক, প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.