রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: রাত পোহালেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) ভোটযুদ্ধ। সেই ভোটের প্রচারে গিয়ে অধিকারী পরিবারকে তুলোধোনা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী, ২০০৭ সালে পুলিশি অভিযানের বিষয়ে শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী জানতেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার তৃণমূল নেত্রীর সেই অভিযোগ ওড়াতে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন একটি চিঠি প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই চিঠি দেখিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দাবি, নন্দীগ্রামে যাতে পুলিশি অভিযান না হয়, সেই অনুরোধ জানিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
বুধবার বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর তরফে একটি চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিটি লেখা হয়েছিল ২০০৭ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখ। চিঠি অনুযায়ী, সেখানে তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা পুলিশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়। সেই পুলিশি অভিযান শুরু হলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেছিলেন তিনি। চিঠিতে সে কথা উল্লেখও করা হয়েছিল। একইসঙ্গে ওই চিঠিতে নন্দীগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলাস্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছিলেন শুভেন্দু। নির্বাচনের আগের দিন এই চিঠি প্রকাশ করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, জখম হওয়ার ১৮ দিন পর রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়া বাজারে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অধিকারীদের। নন্দীগ্রাম কাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেন শুভেন্দু-শিশিরের উপর। বলেন, “বাপ-ব্যাটার অনুমতি ছাড়া নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারত না। বুদ্ধদেববাবুর সঙ্গে ওদের যোগাযোগ ছিল। কী হবে সবটা জানতেন।” যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে শিশির অধিকারীর পালটা সরব হন। বলেন, “উনি বুঝে গিয়েছেন হার নিশ্চিত। সেই কারণেই অধিকারীদের বদনাম করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন।” ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল নেত্রীকে মুখোমুখি বসার আহ্বান জানান তিনি। এরপর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.