শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবিতে আমরণ অনশনের ডাক দিল যুব মোর্চা নেতৃত্ব। শুরু হল অবস্থান বিক্ষোভ। দাবি, স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ শহরের সুকান্ত মোড় এলাকার ঘটনা।
এদিন বেলা বারোটা থেকে রীতিমতো মাচা বেঁধে ধরনা শুরু করে যুব মোর্চা নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ফালাকাটার বাসিন্দা সৌমেন রায়ের নাম কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর থেকেই দলীয় কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভে সরব হন। ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন এক মহিলা। সেই মহিলা নিজেকে সৌমেন রায়ের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। দিন তিনেক আগে বিজেপির প্রার্থী সৌমেন রায় কালিয়াগঞ্জে প্রচারে ঢোকার পথে স্থানীয় নেতৃত্বের বাধার মুখে পড়েন। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তারপর থেকে কালিয়াগঞ্জের দলীয় কর্মীরা প্রচার বন্ধ রেখেছেন। এমনকী, ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন দেওয়ালে পদ্ম চিহ্ন আঁকা থাকলেও প্রার্থীর নাম লেখা নেই। এদিনের অনশনে সামিল হন ওই কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর রানাপ্রতাপ ঘোষ এবং যুব মোর্চার জেলা সভাপতি গৌতম বিশ্বাস, শহর যুব সম্পাদক তন্ময় বিশ্বাস, জেলা পরিষদের দলীয় সদস্য কমল সরকার-সহ বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি ভবানী সিংহ এবং সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সদস্য মাফুজ আলি প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি গৌতম বিশ্বাস বলেন, “কালিয়াগঞ্জের ঘোষিত বিজেপি প্রার্থী সৌমেন রায় নানারকম কুকাজের সঙ্গে যুক্ত। জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। ওই বহিরাগত প্রার্থীকে পরিবর্তন না করলে স্থানীয় নেতৃত্ব নির্দল প্রার্থীকে দাঁড় করানো হবে।” সেইসঙ্গে নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের দলীয় কো-অর্ডিনেটর রানাপ্রতাপ ঘোষ বলেন, “দুই-একদিনের মধ্যে স্থানীয় প্রার্থী ঘোষণা না করলে আমরণ অনশন অব্যহত থাকবে।” তবে এ ব্যাপারে এদিন স্থানীয় সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ফোনে বলেন, “আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রার্থী বদলের কোনও সম্ভবনা নেই। তবু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছে।” যদিও জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন,” প্রার্থী বদলের নামে আন্দোলনের সঙ্গে জেলা বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ভোটের প্রচার কালিয়াগঞ্জে শুরু হয়নি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.