সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে তিনি রাজ্যে এলেন। দলের চরম দুর্দিনেও গোয়ালপোখরের মাঠে ভালই লোক জড়ো করলেন বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা। কিন্তু রাজ্যে এসেও রাহুল গান্ধী পড়ে রইলেন সেই মোদিকে নিয়েই। লড়াইটা যেন শুধু বিজেপির বিরুদ্ধেই। বেকারত্ব, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করলেন বটে। তবে সেটা মোদির তুলনায় অনেক মৃদুস্বরে। রাজ্যের কংগ্রেস তথা জোট নেতাদের যে পলিটিক্যাল লাইন, সেই দিদি-মোদি আঁতাতের অভিযোগেও খুব একটা শান দিতে দেখা গেল না প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে।
শুধু বিজেপির সঙ্গে জোট প্রসঙ্গ তুলে মমতাকে খোঁচা দিয়ে বললেন, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির লড়াই শুধু রাজনৈতিক। আর কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির লড়াই রাজনৈতিক এবং আদর্শগত। গোয়ালপোখরের সভায় শুরু থেকেই মোদির বিরুদ্ধে চড়া সুর ছিল রাহুলের। কখনও নোটবন্দি, কখনও জিএসটি, কখনও করোনা, কখনও লকডাউন, কখনও বিভাজন, আবার কখনও আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে তুলোধোনা করলেন বিজেপিকে। অভিযোগ করলেন, বিজেপি ভোটে জেতার জন্য দাঙ্গা করে। সোনার বাংলা গড়ার নামে ওঁরা বাংলার সংস্কৃতি, ভাষার উপর আক্রমণ করবে। আপনাদের কাছে আবেদন, বিজেপিকে আটকান, আমাদের জোটের প্রার্থীদের জেতান, বাংলাকে বাঁচান।
এতো গেল বিজেপির কথা কিন্তু তৃণমূল? রাহুল গান্ধী বললেন, “আপনারা মমতা দিদিকে বাংলা সামলনোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কি আপনাদের রোজগার দিয়েছেন? কেউ বলতে পারবে মমতা আপনাদের কোনও উপকার করেছেন? কোনও কাজ দিয়েছেন? রাস্তা তৈরি করেছেন? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছেন?” ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির প্রশ্ন, “কীসের খেলা? আগে বলুন রাস্তা কে বানাবে? খেলতে হলে রাস্তা লাগবে তো? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করুন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে খেলা হোক না। তাই ভেবেচিন্তে আমাদের জোটকে ভোট দিন।”
রাহুলের অভিযোগ, “এখানে দিদি-মোদির নাটক চলছে।” তবে, দিদির তুলনায় এদিন মোদিকেই বেশি করে বিঁধলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাহলে কি দিদির প্রতি কোনও বার্তা দিয়ে রাখলেন রাহুল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.