সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটে নজরে নন্দীগ্রাম। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছিল সেখানকার বিভিন্ন বুথে। দুপুরের দিকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুথ পরিদর্শনে বেরন। আর তাতেই কার্যত নন্দীগ্রামের ভয়ের পরিবেশ বদলায়। কেটে যায় আতঙ্কের আবহ। যাঁরা সকাল থেকে অশান্তির ভয়ে ঘরে বসেছিলেন, মমতা বেরতেই চাঙ্গা হয়ে উঠলেন তাঁরা। মাথার উপর গনগনে রোদকে সঙ্গী করেই তাঁরাও ছুটলেন বুথে। নির্ভয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন তাঁরা।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুথ পরিদর্শনে বেরনোয় শুধু অন্যদেরই যে ভয় কাটল, তা নয়। তিনি নিজেও অশান্তির মাঝে পড়লেন। আর তখনই বেরিয়ে এল তাঁর লড়াকু চেহারা। রণক্ষেত্র বয়াল-২’র ৭ নং বুথের দায়িত্ব নিয়ে নিলেন তিনি নিজেই। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছিল নন্দীগ্রামের (Nandigram) নানা জায়গায়। স্পর্শকাতর হিসেবে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল বয়াল-২ এলাকা। দুপুর গড়াতেই নন্দীগ্রামের সেই অশান্তির আগুন আরও বেশি করে জ্বলে উঠল। তৃণমূল সুপ্রিমো দুপুরে বয়াল-২’র ৭ নং বুথে যেতেই উত্তেজনা আরও বাড়ে। তাঁকে ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। তিনি কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েন। এরপর নিরাপত্তার স্বার্থে বুথের ভিতর নিয়ে গিয়ে বসানো হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। সেখানে তিনি প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) ফোন করেন। পরিস্থিতির কথা সবিস্তারে জানান।
ঠিক এই সময়েই বয়ালের ৭ নং বুথের বাইরে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে প্রবল বচসা বাধে। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়, বাঁশ দিয়েও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষের কর্মী, সমর্থকরা। এসব টের পেতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বহু যুদ্ধের সৈনিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কেন এত লোক? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। মমতা বলেন, ”এই বুথ থেকে ৬৩ টি অভিযোগ পেয়েছি। এবার কমিশনে অভিযোগ জানাব। প্রয়োজনে আদালতেও যাব।” প্রসঙ্গত, এই বুথে সকাল থেকে জনতাকে ভোটদানে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এসব শুনেই মমতা ছুটে গিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে আপাতত বুথ সামলানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি নিজেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.