বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: একুশের ভোটে নজরে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। দুই হেভিওয়েট-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই। এর মাঝেই জোর টক্কর দিচ্ছেন বামেদের তরুণ তুর্কি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দুয়ারে-দুয়ারে ঘুরে জনসংযোগ আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারই তাঁর হাতিয়ার। এর মাঝেই মীনাক্ষীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন প্রয়াত DYFI কর্মী মইদুল মিদ্দার মা তহমিনা মিদ্দা। দলের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে মইদুলের মা-কে বলতে শোনা গিয়েছে, “চাকরি চাইতে গিয়ে আমার ছেলে মারা গিয়েছে। আমার মেয়ে জিতলে তবেই তো তার বিচার হবে।”
রবিবার দুপুরে DYFI-এর তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে মীনাক্ষীর জন্য ভোট চেয়েছেন তহমিনা মিদ্দা। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমার মেয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছে। তোমরা আমার মেয়েকে জেতাও। আমার মেয়ে বেকার ছেলেদের জন্য লড়ে। আমার ছেলে তো চাকরি চাইতে গিয়ে পুলিশ অফিসারদের মারে মারা গিয়েছে। আমার মেয়ে জিতলে তবেই তো তাদের শাস্তি দিতে পারবে।”
একইসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনাও করেছেন তিনি। তহমিনার কথায়, “আমার মেয়ের বিরুদ্ধে যে দু’জন দাঁড়িয়েছেন তাঁরা কোনও কাজ করেন না। কাউকে চাকরি দিতে পারবেন না। শুধু মিথ্যা কথা বলে।” রাজ্যের শাসকদলকে খুনিদের সরকার বলেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, “ওঁরা শুধু খুন করতেই পারেন। কাউকে চাকরি দিতে পারেন না।” এরপরই মিদ্দার মায়ের আরজি, “আর কোনও মায়ের কোল যেন আমার মতো খালি না হয়।”
প্রসঙ্গত, শনিবার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দাউদপুরের নয়নানে হেনস্তা করে তৃণমূল। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার গ্রেপ্তারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে নন্দীগ্রাম থানায় অবস্থান শুরু করেন প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা। বিক্ষোভে রয়েছেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন সিহি, মহিলা নেত্রী কনীনিকা ঘোষ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ভোটপ্রচার করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়েন বাম প্রার্থী। তাঁকে সরাসরি ওই এলাকায় ভোট প্রচার করতে বারণ করে দেন। সেই তৃণমূল নেতার দাবি, ওই এলাকায় মীনাক্ষী প্রচার করলে তৃণমূলের ক্ষতি হবে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.