সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলেছিলেন, এবার রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু ফল প্রকাশ হতেই ভাঁড়ে মা ভবানী। সেঞ্চুরি পার করতে পারল না গেরুয়া শিবির। বাংলায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদি-শাহ জুটি। এমনকী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গ্রামেও গোহারা হেরেছে তার দল। এমনকী, দিলীপ ঘোষ যে বুথে ভোট দিয়েছেন সেখানেও পিছিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। কেন হল এমন? উঠছে প্রশ্ন।
এবার জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামে ৪-০ করেছে তৃণমূল। অথচ গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এই এলাকায় পদ্ম ফুটতে শুরু করেছিল। ঝাড়গ্রামে লোকসভায় আশাতীত ফল হয়েছিল বিজেপির। সেই ফলাফল দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিধানসভা ভোটে মিলল না কোনও অঙ্কই। বরং পঞ্চায়েত ভোটে এগিয়ে থাকা দিলীপ ঘোষের গ্রামেও পিছিয়ে পড়ল বিজেপি।
ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী দুলাল মুর্মু। বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন বকুল মুর্মু। বিজেপি প্রার্থীকে ২২ হাজার ৬৩৭ ভোটে হারিয়েছে তৃণমূল। একুশের ভোটে কুলিয়ানা জুনিয়র হাইস্কুলের ১১৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়েছিলেন দিলীপ। তিনি যে বুথে ভোট দিয়েছেন সেখানে তৃণমূল পেয়েছে ২৫৫টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ১৮২টি ভোট এবং সিপিএমের ঝুলিতে গিয়েছে ৬০টি ভোট। কুলিয়ানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৩২৬টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ২৫৩ ভোট এবং সিপিএম পেয়েছে ২৩টি ভোট। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের গ্রামে তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে বিজেপি।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, রাজ্যের বিরোধী মুখ দিলীপ ঘোষের পরিবারই রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছিল। এমনকী, রাজ্যের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছিলেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্য সরকারের উন্নয়নের জোয়ার এবং জনমুখী নীতিই খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির গড়েই তৃণমূলকে অ্যাডভান্টেজ দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.