অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: হাওড়ার বেলগাছিয়ায় পাইপ লাইনে ফাটল। দীর্ঘক্ষণ বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ জল সরবরাহ। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে প্রবল সমস্যায় উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে পাইপলাইন মেরামতির কাজ। এদিকে উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পুরসভার তরফে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তারা ওই দুই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহ করছে।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। এদিন হাওড়ার বেলগাছিয়ায় ভাগাড়ে ভূমিধস হয়। যার জেরে প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে থাকা পাঁচিল। এই ধসের জেরে মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে হাওড়া পুরসভার পাইপ লাইন। ফেটে যায় পাইপ লাইন। যার জেরে বৃহস্পতিবার থেকে তীব্র গরমেও ওই এলাকারা বাসিন্দারা পাচ্ছেন না জল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী -সহ পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। হঠাৎ কী কারণে ও কীভাবে ভূমিধস হল তা খতিয়ে দেখে মেরামতের কাজ শুরু করে পুর কর্তৃপক্ষ। মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানান, খুব শীঘ্রই মেরামতের কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও শেষ হয়নি মেরামতির কাজ।
কিন্তু কেন ভূমিধস? বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনার স্তূপে তিনটি পাহাড় হয়ে গিয়েছে। সেই আবর্জনার স্তূপের নীচেই জৈব গ্যাস তৈরি হয়ে ভূমিক্ষয় হয়েছে। আর এই বেলগাছিয়া ভাগাড়ের মাটির নীচে দিয়েই হাওড়া পুরসভার পানীয় জলের একটি মূল পাইপ লাইন গিয়েছে। ভূমিধসের জেরে পাইপটি মাটি ফুঁড়ে ফেটে বেরিয়ে আসে। পুরসভার তরফে জানানো হয়, বুধবার রাত থেকেই এই ধস নামতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে তা বড় আকার নেয়। ভূমিধসের জেরে যে পাইপটি ফেটেছে সেটি উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জল সরবরাহের মূল পাইপ লাইন। পাইপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১ কিলোমিটার। এদিন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী আরও জানান, ওই এলাকায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ১১০০ ভোল্টের একটি পোস্ট রয়েছে। ওখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কারণ ভূমিধসের জেরে এখানে বড়সড় বিপদ হতে পারে। পাশাপাশি উত্তর হাওড়া ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পুরসভার তরফে ২৮টি পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। তারা ওই দুই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পানীয় জল সরবরাহ করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.