Advertisement
Advertisement

রাজ্যের নয়া উদ্যোগে এবার পর্যটকদের রাত কাটবে টাইগার হিলেই

আর মিস হবে না সূর্যোদয়৷

Watch the mesmerizing sunrise at Tiger Hill, courtsey WB govt
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 6, 2017 8:17 am
  • Updated:March 6, 2017 8:17 am  

ব্রতীন দাস, দার্জিলিং : দার্জিলিংয়ে বেড়াতে এসে টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ হয়নি এমন অনেকেই আছেন। রাতভর না ঘুমিয়ে ভোর চারটেয় হোটেল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন। তবু পাহাড়ি যানজটে ফেঁসে ফিরতে হয়েছে একরাশ হতাশা নিয়ে। তবে খুব তাড়াতাড়িই ফুরোতে চলেছে সেই মন খারাপের দিন৷ এবার থেকে টাইগার হিলে তাঁবুতে রাত কাটিয়ে সূর্যোদয় দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা৷ রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। ২০টি তাঁবু তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে৷ প্রাথমিক পর্যায়ে হবে সাতটি৷

জানেন, দেশের কোন শহরে প্রথম পড়ে সূর্যের আলো?

Advertisement

পুজোর মরশুম থেকেই টাইগার হিলে তাঁবুতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব৷ একইসঙ্গে টাইগার হিলে মায়াবী সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে সেখানে গল্ফ খেলার শখও পূরণ হতে পারে৷ কারণ, পর্যটন দফতরের উদ্যোগেই টাইগার হিলে তৈরি হচ্ছে গল্ফ কোর্স। থাকছে ক্যাফেটেরিয়া৷ সংস্কার করা হচ্ছে ব্রিটিশ বাংলোটির।

বেপরোয়া গাড়ি, প্রতিবাদ করায় প্রহৃত টলিউড অভিনেতা

অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের মতো এবার কালিম্পংয়েও তৈরি হচ্ছে ম্যাল৷ হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু৷ জেলা ঘোষণার পর পর্যটনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অর্কিডের শহরকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রাজ্য৷ পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে কালিম্পংকে অন্যতম গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী৷ কালিম্পং শহরের পুরনো জেলখানা সরানো হচ্ছে অন্যত্র। সেখানেই গড়ে তোলা হবে ম্যাল৷

গ্রাম পঞ্চায়েতের হাত ধরে বিশ্বসেরার তকমা বাংলার মুকুটে

মরগ্যান হাউসের মতো ঐতিহ্যশালী সম্পত্তি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ মরগ্যান হাউসের পাশেই তৈরি হবে ঝুলন্ত সেতু৷ ওই সেতু ধরেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে৷ কালিম্পংয়ের হিলটপকেও নতুন রূপে সাজিয়ে তোলার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে৷ তৈরি হচ্ছে বাহারি ফুল, অর্কিডের গার্ডেন৷ কালিম্পংয়ে অন্যতম আকর্ষণীয় লিংসে৷ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমকে মাথায় রেখে ওই এলাকাটিকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ লিংসে লেকের স্বচ্ছ জলে কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রতিবিম্বের দৃশ্য এককথায় অনবদ্য৷ অথচ সেখানে যাতায়াতের পথ খুবই দুর্গম৷ সিকিম হয়ে হেঁটে পৌঁছতে হয়৷ প্রায় দু’কিলোমিটার পথ হাঁটলে তবেই পৌঁছনো যায় লিংসে-তে৷ সুগম পথ গড়ে তুলতে সেখানে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য পর্যটন দফতর৷

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement