টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: প্রথম পাঁচ দফা বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যে দিয়ে শেষ হলেও, ষষ্ঠ দফার ভোটে দিনভর উত্তপ্ত রাজ্যের কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্র। দিনভর একাধিক বুথ থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষের পাশাপাশি এবার ভোটারদের আতঙ্কিত করা, প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যাদের হাতে বুথের শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব৷ তাঁদের লাঠির আঘাতেই আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। পাশাপাশি, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে বিষ্ণুপুরের কলাবাগান এলাকার ২০৭ নম্বর বুথে কর্তব্যরত বাহিনীর বিরুদ্ধে।
কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও ভাঙচুর করা হয়েছে প্রার্থীর একাধিক গাড়িতে। কখনও ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হয়েছেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। বাধ্য হয়ে বেশ কিছু জায়গায় কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় ভোটগ্রহণ। এরই মাঝে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাঁকাদহের কলাবাগান এলাকার ২০৭ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোটাররা। সেই লাইন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন এক জন।বিষয়টি নজরে পড়তেই লাইন ঠিক করতে যান কয়েকজন জওয়ান। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই ওই ব্যক্তিকে মারধর শুরু করেন তাঁরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যান লাইনে থাকা অন্যান্য ভোটাররা। অভিযোগ, সেই সময়ই লাঠিচার্জ করেন জওয়ানরা। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
মুহূর্তে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। জওয়ানদের লাঠির আঘাতে আহত হন তিন জন। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ভোটারদের অভিযোগ, এদিন সকাল থেকেই বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের প্রভাবিত করছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন জায়গাতেই অশান্তির সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভূমিকা তেমন ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ জনতা৷ প্রসঙ্গত, পঞ্চম দফা ভোটের দিনও একাধিক বুথের ভোটাররা একই অভিযোগ করেছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের এক পোলিং এজেন্ট। এদিন ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.