ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যেই বাংলায় মিলেছে মারণ চিনা ভাইরাস সংক্রামিতের হদিশ। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার উপাসনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আপাতত করোনা আতঙ্ক না দূর হওয়া পর্যন্ত বুধবারের সাপ্তাহিক উপাসনা বন্ধ রাখা হবে বলেই নোটিসে উল্লেখ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি বুধবার বিশ্বভারতীতে উপাসনা হয়। তবে এই প্রথমবার করোনা সতর্কতায় বন্ধ রাখা হল সাপ্তাহিক উপাসনা। বহুদিনের প্রথা আদৌ ভাঙা হবে কি না, সে বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বৈঠক ডাকে। ওই বৈঠকেই আপাতত জমায়েত এড়াতে সাপ্তাহিক উপাসনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নোটিস জারি করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে আবার কবে থেকে শুরু হবে উপাসনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। যতদিন না পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক দূর হবে, ততদিন উপাসনা বন্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে। রোগ সংক্রামণের এড়াতে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন আশ্রমিক থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা প্রায় সকলেই।
এর আগে বসন্তোৎসব এবং সোনাঝুরির হাটও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী, খোয়াই-কোপাই থেকে সোনাঝুরির হাট এসবের আকর্ষণেই বারবার বীরভূমে হাজির হন পর্যটকরা। ভারত হোক বা বিদেশি পর্যটক কেউই সোনাঝুরির হাটের স্বাদ ছাড়তে চান না। আর সেখানেই বিপদ আঁচ করছে প্রশাসন। সেই কারণেই এর আগে সোনাঝুরির হাটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যার জেরে পর্যটক বহুল সোনাঝুরি কার্যত খাঁ খাঁ করছে। সোনাঝুরির হাটের পাশাপাশি শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রাঙ্গণ, উত্তরায়ণ এলাকা, কলাভবন, উপাসনা গৃহ সব জায়গাতেই পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী বৈঠক করা হবে। কবে থেকে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই বৈঠকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.