ফাইল ছবি।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এক কর্মী জ্বরে ভুগছেন। যদিও তিনি করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না। তাই আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) কেন্দ্রীয় অফিস। আজই ওই কার্যালয় জীবাণুমুক্ত করা হবে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সরকারি নিয়ম মেনে কেন্দ্রীয় অফিসের বিভিন্ন দপ্তরে কাজকর্ম করছেন কর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন এক কর্মী। রবিবারও তিনি জ্বর নিয়ে অফিসে আসেন। সহকর্মীর জ্বর দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্যান্য কর্মীরা। ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত নন তো, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে সকলের মনে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় নিশ্চিত হতে ওই কর্মীর করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এবং রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ করে রাখা হবে। সেই অনুযায়ী সোমবার সকালেও খোলেনি বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিস। এদিন তা জীবাণুমুক্তও করা হবে।
তবে কেন্দ্রীয় অফিস বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মী এবং পেনশনভোগীরা। কারণ বিশ্বভারতীর কর্মীদের যেমন বেতন হয়নি, তেমনই মঙ্গলবার পেনশনভোগীদের পেনশন পাওয়ার কথা। তবে কেন্দ্রীয় অফিসে নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি অন্য ভবন থেকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিল বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের সময় সরকারের নির্ধারিত নিয়ম মানেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের হস্টেল, অফিসগুলির পাশাপাশি ক্যাম্পাস সংলগ্ন বসবাসকারী কয়েজ হাজার মানুষকে জল, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা না থাকলে এই ধরনের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয় বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার যদি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.