Advertisement
Advertisement

Breaking News

Vishva Bharati

‘আমি মন্দিরে বসেও রাজনীতি করি’, কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্যে বিতর্ক

'বিশ্বভারতীর অবমাননাকারীদের চাবুক মারার দায়িত্ব আমাদের', মন্তব্য উপাচার্য বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীর।

Visva Bharati VC sparks row with 'politics' comment on the day of death anniversary of Rabindranath Tagore | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 8, 2022 5:59 pm
  • Updated:August 8, 2022 7:41 pm  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবসেও বিতর্কে বাইরে থাকতে পারল না বিশ্বভারতী (Vishva Bharati)। কবিগুরুর ঐতিহ্য বিজড়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্যের মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল। সোমবার সকালে উপাসনা মন্দিরে বসে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলে বসলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই হল রাজনীতি। আমি যখন মন্দিরে বসে এই কথাগুলো বলি, আমি কিন্তু রাজনীতি করি।” আজকের দিনে তাঁর এ ধরনের মন্তব্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা।

আজ ২২ শ্রাবণ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। এই দিনে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য মেনে সকালে উপাসনা গৃহে প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকেন আশ্রমিকরা। এমনই সমাগমের মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী টানলেন ‘রাজনীতি’ (Politics) প্রসঙ্গ। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক মা, ফের বিয়ে করতে পারেন বাবা, আতঙ্কে আত্মঘাতী ৯ বছরের বালক]

তাঁর বক্তব্য, “ডেমোক্রেসি বলতে আমার বোঝই বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। কিন্তু, আজকের পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করি। ভোটে জিতে জনপ্রতিনিধি হয়েছি, তাই জনগণের টাকা নিজের মত করে নেব৷  অনেক সময় এই নেওয়ার যে প্রচেষ্টা, তাতে বদহজম হয়ে যায়। এই বদহজমের প্রকাশ আপনারা আজকের পশ্চিমবঙ্গে দেখছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমি এখানে বসে এসব বলছি মানে অন্য়ায়ের প্রতিবাদ করছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ মানেই রাজনীতি। আমি মন্দিরে বসেও রাজনীতি করছি। গুরুদেব প্রতিবাদ করে নাইটহুড ত্যাগ করেছিলেন, হিন্দু-মুসলিম বিভেদ দূর করেছিলেন।”   

[আরও পড়ুন: দূরত্ব বাড়ছে বিজেপি-জেডিইউর, বিহার সরকার ভাঙার ছক কষছেন অমিত শাহ?]

নিজের বক্তব্যে আরও একটি বিতর্ক উসকে দেন উপাচার্য। বলেন, ”গুরুদেব আমাদের কাছে একজন মানুষ তাই নয়, তিনি একজন চলমান দর্শন। সেই দর্শনকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। আর যারা বিশ্বভারতীকে অবমাননা করে, তাদের চাবুক মারার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের।” কবির প্রয়াণ দিবসে উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এহেন বক্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ নিন্দার ঝড় উঠেছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement