সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে জবাব দিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। বললেন, ‘‘আমার জমি নিতে চাইছেন। কেউ যদি আপনার বাড়ি গিয়ে বলেন, এটা তাঁর জমি। তিনি অন্যের সঙ্গে যেরকম ব্যবহার করেন, অন্য কেউ সেটা করবে না। একইসঙ্গে নোবেলজয়ীর বক্তব্য, ‘‘দিল্লির কিছু মানুষ হয়তো আমাকে পছন্দ করেন না।’’
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে গত মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বভারতী দাবি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্যর বাড়ি ‘প্রতীচী’ সীমানায় ঢুকে গিয়েছে। সেই জমি দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়। তারপরই সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত নথি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ জমির প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী কেমন এমন ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে উঠল তা নিয়েও ‘প্রশ্ন’ তোলেন অমর্ত্য সেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পালটা জবাব দেন। নোবেলজয়ীকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিম্যাল জমি দখল করে রয়েছেন অমর্ত্য। উনি আদালতে যাচ্ছেন না, কারণ গেলেই হেরে যাবেন।’’ অমর্ত্য সেন আদতে নোবেলজয়ী কিনা, সে প্রশ্নও আরও একবার তোলেন তিনি। বলেন, ‘‘অমর্ত্য সেন আসলে নোবেল লরিয়েট নন। উনি নোবেল প্রাইজ় পাননি। উনি নিজেই দাবি করেন নোবেল প্রাইজ় পেয়েছেন।’’
তাঁর বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যাও দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, নোবেল প্রাইজ়ের ডিডে বলা হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য আর বিশ্বশান্তি – এই পাঁচটি বিষয়ে পাঁচজনকে নোবেল প্রাইজ় দেওয়া হবে। তার বাইরে আর কারও নোবেল পাওয়ার কথা নয়। পরবর্তীকালে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের দেওয়া অর্থে অর্থনীতিতে পুরস্কার চালু হয়। যার নাম ব্যাংক অফ সুইডেন প্রাইজ় ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অফ আলফ্রেড নোবেল। সেটাকে নোবেল পুরস্কার বলা যায় না। যদিও অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে। তা মিথ্যে বলে খারিজও করে দিয়েছেন অনেকেই।
উপাচার্য এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দড়ি টানাটানির মাঝে জমি বিতর্কের নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরও। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.