ফাইল ছবি
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রথা ভেঙে শান্তিনিকেতনে অকাল ‘বসন্ত বন্দনা’। দোল পূর্ণিমার আগেই ‘বসন্ত বন্দনা’র সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী। সোমবার অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাকর্মীরাই শুধুমাত্র ‘বসন্ত বন্দনা’য় অংশ নেবেন। তবে এবারও বিশ্বভারতীতে ঐতিহ্যমণ্ডিত বসন্ত উৎসব হচ্ছে না। তাতেই ক্ষুব্ধ আশ্রমিক, পড়ুয়া এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশ।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ‘বসন্ত বন্দনা’। ওইদিন সন্ধে সাড়ে ৬টায় লোক-সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বসন্ত বন্দনা’র সূচনা। রাত ৯টায় বৈতালিক। পরদিন ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক। সকাল ৭টায় শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠান। সন্ধে সাতটায় পরিবেশিত হবে নৃত্যনাট্য ‘মায়ার খেলা’। ৭ মার্চ অর্থাৎ দোলের দিন গৌরপ্রাঙ্গণে পূর্ণদাস বাউলের গান দিয়ে শেষ হবে ‘বসন্ত বন্দনা’।
২০১৯ সালে শেষবার বসন্ত উৎসব হয়েছিল। তাতে অংশ নিয়েছিলেন পড়ুয়া, আশ্রমিকদের পাশাপাশি বহু পর্যটক। তবে তারপরই করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় সবকিছুই। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২০২০ সাল থেকে আর শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়নি। এবারও একই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। কেন এবারও বসন্ত উৎসব পালন করা হবে না, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। এদিকে, ‘বসন্ত উৎসবে’ কেন পূর্ণদাস বাউলের গানের বন্দোবস্ত করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ, রজত রায় উপাচার্য থাকাকালীন পূর্ণদাস বাউলের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের পরেও কেন ফের পূর্ণদাস বাউলকে দিয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত, স্বাভাবিকভাবে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.