Advertisement
Advertisement
বিশ্বভারতী

বিশ্বভারতীতে এবার থেকে ছুটি শনি ও রবিবার, নিয়ম বদলে বিতর্কে কর্তৃপক্ষ

দীর্ঘদিনের প্রথা অনুসারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী ছুটি থাকত।

Visva-Bharati University changes holiday calendar, sparks row

ফাইল ছবি।

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 1, 2020 3:15 pm
  • Updated:January 1, 2020 3:17 pm  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: চূড়ান্ত বিতর্কের মধ্যে শনি ও রবিবার ছুটি ঘোষণা করে দিল বিশ্বভারতী। বুধবার থেকে কার্যকরী হবে এই নির্দেশিকা। এর আগে দীর্ঘদিনের প্রথা অনুসারে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী ছুটি থাকত। এই বিষয়ে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “বিশ্বভারতীতে এখন নিয়ম ভাঙার খেলে চলছে। গুরুদেবের সৃষ্টিকে ভেঙে নিজেদের ইচ্ছাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে কিছু মানুষ। খুব দুর্ভাগ্যজনক।”

মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব আশা মুখোপাধ্যায়ের সই করা নোটিফিকেশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্রন্থণবিভাগ কলকাতা বুধ-বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনি-রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। কিন্তু পাঠভবন বুধবার এবং রবিবার ছুটি থাকবে। একই ভাবে রবীন্দ্রভবন প্রথা মতো বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ছুটি থাকবে।

Advertisement

[ আর পড়ুন: মহিলাকে কটূক্তির জের, দত্তপুকুরে পিটিয়ে খুন যুবককে ]

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী একটি ব্রাহ্ম বিদ্যালয়। রাজা রামমোহন রায় ১৮২৮ সালের ৬ ভাদ্র বুধবার ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে ব্রাহ্ম সমাজের উপাসনা হত প্রতি শনিবার পরে তা বুধবার নির্দিষ্ট করা হয়। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৪৩ সালের ৭ পৌষ ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁর কাছে বুধবার ছিল পবিত্র বুধবার। কারণ এই দিনটিতে ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিল। তাই ১৯০১ সালে “শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা থেকেই বুধবার ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধ-বৃহস্পতিবার ছুটি থাকার কারণে বিশ্বভারতীর দিল্লির বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভবনে বিভিন্ন দিন ছুটি নিয়ে। এর ফলে সমস্যা আরও বাড়বে কমবে না। কর্তৃপক্ষের এই সব সিদ্ধান্তে অসুবিধায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। তারা আগে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও করেছিল। এই বিষয়ে আশ্রমিক অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বভারতী সারা বিশ্বের কাছে তার ঐতিহ্যের জন্য আলাদা ভাবে চিহ্নিত। শিক্ষার ক্ষেত্রে নামতে নামতে এখন স্থান ৩৮-এ। এবার ঐতিহ্য ভেঙে আরও নিচে নামাতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। গুরুদেবের সৃষ্টিকে এইভাবে শেষ করা যাবে না।” এই বিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, “কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত অনুসারে ছুটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

[ আরও পড়ুন: গলসিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বালি বোঝাই লরি চাপা পড়ে মৃত দুই শিশু-সহ ৫ ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement