ফাইল ছবি।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা ঘিরে আপাতত উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Vishwabharati University)। সোমবার সকালে পাঁচিল ভেঙে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয়দের একাংশ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, যতক্ষণ পরিস্থিতির উন্নতি না হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ভরতি,পরীক্ষা এবং আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকবে। আর এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই উঠেছে প্রশ্ন।
আশ্রমিকদের বক্তব্য, করোনা আবহে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্বভারতীও বন্ধ থাকার কথা। তাহলে নতুন করে বন্ধ রাখার কথা কেন উল্লেখ করা হল বিজ্ঞপ্তিতে? তাহলে কি বিশ্বভারতী
খোলা ছিল? সোমবারের ঘটনার পর বিশ্বভারতী একটি প্রেস বিবৃতিতে জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ না দেওয়ার জন্য যেভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে দুটি পুলিশ স্টেশন রয়েছে। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার জন্য বিশ্বভারতীর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে বিজপ্তিতে জানানো হয়। যারা এই ভাঙচুর চালানোর সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও আবেদন করা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অনুমোদিত কোনও এজেন্সি এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করবে এবং সেই টাকা, যারা ভেঙেছে, তাদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। একইভাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য করার অনুরোধ জানিয়েছে। বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, যেখানে পাঁচিল তৈরির কাজ হচ্ছিল, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করতে।
এদিকে, বিশ্বভারতী বন্ধের প্রসঙ্গে আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন, ”করোনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে বিশ্বভারতী সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার কথা। কাজ হওয়ার কথা অনলাইনে। তাই নতুন করে বিশ্বভারতী বন্ধের কথা আসছে কেন? আর উপাচার্য কীভাবে কেন্দ্রীয় অফিসে সবাইকে ডেকে বৈঠক করছেন?” অপরদিকে সোমবার বিকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের দাবি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এইভাবে একতরফা বন্ধের কথা বলতে পারে না। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.