ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ফের অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ বিশ্বভারতীতে (Vishvabharati)। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে তৈরি হচ্ছিল বাড়ি। হাতেনাতে এই অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে রবিবার কর্তৃপক্ষ সেই বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বাড়ির ভিতরে পাঁচিল (Wall) তুলে দিল। একইভাবে অন্য যে সব জায়গায় দখল করে বাড়ি বা দোকান তৈরি হয়েছে, তাও দ্রুতই ভেঙে পাঁচিল দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার এই অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে রবিবার তা প্রমাণিত হল। দেখা গেল, বিশ্বভারতীর এনসিসি (NCC) অফিসের পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। ঘর এবং ছাদ ঢালাইও হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় খাস জায়গা দখল করে একাধিক বাড়ি তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় তা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রবিবার সেই ব্যবস্থা নেওয়া হল।
এদিকে, পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে অশান্তির পর কলকাতা হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, এলাকা সুরক্ষিত রাখতে ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা হবে। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফেন্সিং দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং নিজেদের জায়গা দখল নিতে পাঁচিল তোলার কাজও দ্রুত শেষ করতে চাইছে। তাই রতনপল্লি, সংগীত ভবনের পাশে এবং এনসিসি অফিসের পিছনে ইতিমধ্যেই পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ”বিশ্বভারতী যে সব জায়গা দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে পাঁচিল তুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু যেখানে সেই সম্ভাবনা নেই, সেখানে ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা দরকার।” তবে এই দখলদারি নিয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার মুখ খুলতে নারাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.