অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: তৃণমূল কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উর্দি পরেই হাজির থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর! শুধু উপস্থিতি নয়, সেখানে কেক কেটে তা মাখামাখিও করতে দেখা গেল ওই পুলিশকর্তাকে। আর এসব ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্কের মুখে পড়লেন সাব ইন্সপেক্টর। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের শেখপাড়া বাজারে একটি কেকের দোকানে। তৃণমূল কর্মী সোহেল রানার জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর তাজ আলম। সেখানে কেক কেটে খাওয়া থেকে শুরু করে ‘অন ডিউটি’ অবস্থায় পুলিশের উর্দিতে ফোম, কেক লাগানো হয়েছে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল‘। শোরগোল শুরু হয়েছে রানিনগরে।
এ বিষয়ে এসআই তাজ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” কর্তব্যরত অবস্থায় উর্দিতে ফোম বা কেক লাগানো ঠিক হয়নি বলে পুলিশেরই একাংশ মতামত জানাচ্ছেন। আবার সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল‘। তবে এ নিয়ে রবিবার রানিনগর জুড়েই জল্পনা চলেছে রাজনৈতিক মহলে।
রানিনগর ২ ব্লকের কংগ্রেস সভানেত্রী মমতাজ বেগম হীরা জানান, “পুলিশ তো তৃণমূল দলের চটিচাটা কর্মী হয়ে গিয়েছে। আর তাই তৃণমূল কর্মীর জন্মদিনে যাওয়াটা তাঁদের ডিউটি মনে করছে। জনতার নয়, তৃণমূল নেতাদের হয়ে কাজ করে দিচ্ছে।” তৃণমূল কর্মীর জন্মদিন পালনে পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে জেলা বিজেপি নেতা সৌমেন মণ্ডলও সমালোচনা করেন। তাঁর কথায়, “এটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ থানার পুলিশ অফিসার তাঁদেরকেই করা হয়, যারা তাঁদের দলটা চালায়। তাই হয়তো উর্দি পরেই ওই অফিসার তৃণমূল কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন।”
তৃণমূলের রানিনগর ২ ব্লকের সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদের অবশ্য প্রতিক্রিয়া, “পুলিশের কি ব্যক্তি জীবন নেই? ওই এলাকায় গিয়েছিলেন ওই অফিসার তখন দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে ছিল সোহেল রানা। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে তাঁকে কেক খেতে ডেকেছেন। তাতে অন্যায় কী হয়েছে, বুঝতে পারছি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.