সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুই পাড়ার বিবাদকে কেন্দ্র করে ধুন্ধমার কাণ্ড দুর্গাপুরে। ফাঁড়ি লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি, বোমবাজি। আহত ৪ জন পুলিশকর্মী। ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা আবার জানিয়েছেন, যারা ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছে, তারা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছিল।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায়, দুর্গাপুর ইস্পাতনগরী এ জোনের তালতলা বসতি এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় এক কিশোরকে গাঁজা আনতে বলে নতু ও শেখ জাহাঙ্গির নামে দুই ব্যক্তি। রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার পর যখন এ জোন ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়ে ফিরছিলেন আক্রান্তের পরিবারের লোকেরা, তখন তাঁদের সঙ্গে অভিযুক্তদের বচসা হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় নতুকে। আর তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নতুকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর এ জোন ফাঁড়ি ঘেরাও করেন ধৃতের পরিবারের লোকেরা। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পাশের নিশানাথ বসতি থেকে লোকজন গিয়ে ফের চড়াও হয় ফাঁড়িতে। পুলিশের গাড়ি, এমনকী ফাঁড়ি লাগোয়া এলাকায় বাসে চলে ভাঙচুর। ফাঁড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজিও করে হামলাকারীরা। আহত হন ৪ জন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। এরই মধ্যে আবার অভিযুক্ত নতুকে ছাড়াতে অনুগামীদের নিয়ে রাতে এক তৃণমূল কাউন্সিলর থানায় যান বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ইস্পাতনগরীর এ জোনের নিশানাথ বসতিতেই থাকে অভিযুক্ত নতু। এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত সে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগেই তিনজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে নতু। সেই থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল।
ছবি: উদয়ন গুহ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.