দেবাদৃতা মণ্ডল, চুঁচুড়া: বাড়ির কাছেই আক্রান্ত দলের এক কর্মী। প্রতিবাদে যখন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা, তখন বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন একজন। বুধবার রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল হুগলির গুড়াপ। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে গুড়াপে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
বুধবার রাতে গুড়াপের বাথানগড়িয়া এলাকায় আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী সাধন বাউল দাস। বাড়ির কাছেই তাঁকে টাঙ্গির কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে ভরতি তিনি। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই গুড়াপ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, কাটমানি ফেরতের দাবিতে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে ভয় পেয়ে গিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। খোদ ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের নির্দেশে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন থানা লক্ষ্য ইটবৃষ্টিও করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপি কর্মীদের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের ধনেখালি মণ্ডল সভাপতি স্বপন সাঁতরাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন গুড়াপ থানার এক পুলিশকর্মী। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন জয়চাঁদ মালিক নামে এক বিজেপি কর্মী। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রীতিমতো মারমুখী হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। কোনওমতে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে দলের কর্মীদের হাত থেকে বাঁচান বিজেপির ধনেখালি মণ্ডল সভাপতি স্বপন সাঁতরাই। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীকে ভরতি করা হয় চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে। পুলিশের বক্তব্য, থানায় বিক্ষোভ চলাকালীন এক পুলিশকর্মীর হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তখনই বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বেরোয়। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলের কর্মীর উপর হামলার ও গুলি চালানোর প্রতিবাদে গুড়াপের বিভিন্ন এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও অবরোধ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.