বাবুল হক, মালদহ: ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুর। বন্ধ সমর্থকদের বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। শূন্যে গুলি চালানো হয়। ধর্মঘটীদের হটাতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ কর্মীরা। পালটা আক্রমণ হানে বন্ধ সমর্থকরা।
যে কোনও মূল্যে ১৪টি সংগঠনের ডাকা বন্ধ সফল করতে বুধবার সকাল থেকেই মরিয়া বাম কর্মী-সমর্থকরা। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বনধে তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় একপ্রকার জোর করে ধর্মঘট সফল করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। সকাল থেকেই জেলায় জেলায় চলছে অবরোধ। যার ফলে বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যহত। একই ছবি মালদহেও। বুধবার সকাল থেকেই বনধ সফল করতে মালদহের রাস্তায় নামেন বাম সমর্থকরা। বাস-ট্রেন থেকে শুরু করে টোটোতে ভাঙচুর চালানো হয়। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। গন্তব্যের পথে বেড়িয়েও ঘরে ফিরতে হয় অধিকাংশকেই।
এরপর এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ মালদহরে কালিয়াচকের সুজাপুরের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস সমর্থকরা। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানেই ধর্মঘট সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। এরপরই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলিও চালায়। এরপরই পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। একের পর এক আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মালদহের তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, বন্ধকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। বন্ধের ফলে সাধারণ মানুষকে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়। সেই সঙ্গে পুলিশকে আক্রমণ ও গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.