নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: পুরসভা তাঁদেরই দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য৷ তাঁর বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুরসভায় হাজির হতে পারেননি বিজেপি কাউন্সিলররা৷ ফলে পুরসভায় আস্থাভোটে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন৷ তাই পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে রয়েছে৷ যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি৷ তাঁদের অভিযোগ, দুই কাউন্সিলরের গ্রেপ্তারিতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়া সত্বেও, তাঁদের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না পুলিশ৷ শাসকদলের মদতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন৷ আস্থা ভোটে যাতে তৃণমূল জয়লাভ করতে পারে সেই চেষ্টা করছে পুলিশ৷
[ আরও পড়ুন: সোমরাত রাতে ফের বোমাবাজি, উত্তপ্ত ভাটপাড়ায় গ্রেপ্তার চার দুষ্কৃতী ]
সূত্রের খবর, আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে পুরসভার বাইরে দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসা তৈরি হয়েছে৷ ব্যারিকেড দিয়ে দু’পক্ষকে দূরে রেখেছে পুলিশ৷ কোনওক্রমে এলাকার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন পুলিশ কর্তারা৷ এলাকায় নেমেছে ব়্যাফ৷ পুলিশের দাবি, তাঁদের হাতে এখনও হাই কোর্টের ঠিকঠাক অর্ডারের কপি এসে পৌঁছায়নি৷ ফলে সেই কপি না পাওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলরদের ঢুকতে দিতে পারবেন না তাঁরা৷
প্রসঙ্গত, বনগাঁ পুরসভার এক মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলরকে অপহরণের মামলায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি কাউন্সিলরের গ্রেপ্তারির উপর শুক্রবারই স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। দুই বিজেপি কাউন্সিলর হিমাদ্রি মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলের গ্রেপ্তারি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ২২ ওয়ার্ড বিশিষ্ট বনগাঁ পুরসভায় ২১ জন কাউন্সিলরই তৃণমূলের ছিল। আর একটি ওয়ার্ড ছিল সিপিএম দখলে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই ডামাডোল চলছে পুরসভায়। কারণ, বনগাঁ লোকসভা আসনটি তো হাতছাড়া তো হয়েইছে, পুর এলাকায়ও বিজেপির থেকে কুড়ি হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। দলের ভরাডুবির জন্য খোদ পুরপ্রধানের দিকেই আঙুল তুলেছেন শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশ। ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রথমে ১১ জন ও পরে ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এমনকী, চেয়ারম্যান পদ থেকে শংকর আঢ্যকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদনও জানানো হয়।
[ আরও পড়ুন: ফেসবুক থেকে প্রেম, কুলটির হ্যাপির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন স্পেনের ভেরোনিকা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.