নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্রশাসনিক অনুমতি না নিয়ে কালীপুজো৷ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুজো উদ্যোক্তাদের বাঁধা দেয় পুলিশ৷ আর তার জেরেই পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে৷
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বনগাঁ মহকুমার বাগদা থানার নাটাবেরিয়া এলাকায় থেকে চারজন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা চালানো, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ ধৃত স্বরূপ সরকার, সুজয় অধিকারী, সুব্রত মণ্ডল ও তপন বিশ্বাস নামের এই চার ব্যক্তিকে বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ৷
এদিনের এই হামলা প্রসঙ্গে বনগাঁ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অনিল রায় জানান, ওই এলাকার কিছু যুবক অনুমতি না নিয়ে পুজোর প্রস্তুতি নেয়৷ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় বাগদা থানার পুলিশ পুজো উদ্যোক্তাদের অন্যত্র পুজো করার অনুমতি দেয়৷ অভিযোগ, পুলিশের আর্জিতে কর্ণপাত না করে বিনা অনুমতিতে পুজোর উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ প্রশাসনিক নির্দেশ না মানায় পুজো বন্ধ করার নির্দেশ পুলিশ৷
[আলতা পরার স্বপ্নাদেশ! পাঁচ কান হতেই পা রাঙানোর ধুম পাড়ায়]
এরপরই স্থানীয়রা পুলিশের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ পুলিশ কর্মীকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়৷ ইটের ঘায়ে তিন পুলিশ কর্মী জখমও হন৷ একই সঙ্গে স্থানীয়দের হেনস্তার শিকারও হতে হয় পুলিশকর্মীদের৷ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ৷ এরপরই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামবাসীদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ দীর্ঘ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে পুলিশ৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ পিকেট বসিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পুজো হয়ে আসছে ওই এলাকায়৷ আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে এবার কেন পুজো বাঁধা দিল পুলিশ? প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা৷ বাগদার কালীপুজোর বনগাঁ মহকুমায় বেশ নাম ডাক রয়েছে৷ বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজোও হয়ে থাকে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে৷ ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫০-র বেশি পুজো রয়েছে৷ কিন্তু, উৎসবের মাঝে পুলিশ-জনতার খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.