অর্ণব দাস, বারাকপুর: পূর্ব রেলের কর্মচারী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনই ধুন্ধুমার। ঘটনাস্থল বারাকপুর রেল স্টেশনে। ক্যাম্প ভাঙচুর করা-সহ বুথে থাকা রেলকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এদিন মেট্রো রেলেও ভোট গ্রহণ হয়। এই প্রথমবার ইভিএম ভোট গ্রহণ হল মেট্রোয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হয়েছে রেল কর্মচারী সমিতির নির্বাচন। চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। অংশগ্রহণ করেছে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম-সহ কংগ্রেসের কর্মচারী সংগঠন। সেইমতো এদিন সকাল থেকে নির্বিঘ্নেই ভোট চলছিল বারাকপুর রেল স্টেশনে। অভিযোগ, দুপুরে পর আচমকাই ১০-১২জন বহিরাগত এসে ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চলায়। এমনকি ক্যাম্প অফিসে বসে থাকা রেলকর্মীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
স্বাভাবিকভাবেই এই হামলায় আতঙ্কে উত্তেজনা ছড়ায় স্টেশন চত্বরে। পরে রেল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। যদিও নির্বাচন চলাকালীন কারা এসে ভাঙচুর, মারধর করেছে, তা খোলসা করেনি রেলের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেলকর্মী সমীর অধিকারী শুধুমাত্র জানিয়েছেন, “ভোট চলছিল। অতর্কিত এই হামলার ঘটনা আতঙ্কে সকলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছেন।”
বুধ ও বৃহস্পতিবার সাধারণ কর্মীরা ভোট দিচ্ছেন। ৬ ডিসেম্বর ভোট দেবেন ট্রেনের চালক ও গার্ডরা (রানিং স্টাফরা)। পূর্ব রেলের মোট ১২৮টি বুথে এই প্রক্রিয়া চলবে। পূর্ব রেলে মোট পাঁচটি সংগঠন লড়াই করছে। বামপন্থী সংগঠন মেনস ইউনিয়ন, ডানপন্থী মেনস কংগ্রেস, তৃণমূল মেনস কংগ্রেস, বিজেপির কর্মচারী সংগঠন ও এমপ্লইজ ইউনিয়ন। মেনস ইউনিয়ন ও মেনস কংগ্রেসের মূল ইস্যু, পুরনো পেনশন ব্যবস্থা ফেরানো, রেল বেসরকারিকরণের বিরোধিতা ও রেলের জমি বিক্রির প্রতিবাদ। তৃণমূল দুই সংগঠনের দাবিদাওয়াকে মান্যতা দিলেও উভয় সংগঠনের কাজের সমালোচনা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.