সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই হানা দিচ্ছে হাতির দল। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। এমনকী বেশ কয়েকবার হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমন পরিস্থিতিতে দিন দুয়েক আগে জামবনিতে একটি হাতিকে উত্যক্ত করার ভিডিও সামনে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিটির লেজ ধরে টানাটানি করছেন এক গ্বামবাসী। এই ঘটনায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের DFO বাসবরাজ হলেইচ্চি জানিয়েছেন, “হাতিকে উত্যক্ত করতে বারবার নিষেধ করা হচ্ছে। তারপরেও কথা শুনছেন না সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয় রেঞ্জারকে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেছি।”
দিনে-দুপুরে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গজরাজ। কখনও একা দুলকি চালে শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তো কখনও আবার সঙ্গীদের নিয়ে গ্রামের ফসল ভর্তি ক্ষেতে তাণ্ডবে মত্ত তারা। হাতির ভয়ে কার্যত কাঁটা হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। এর মধ্যেই রাস্তায় হাতির দেখা পেলে একদল অত্যুৎসাহি গ্রামবাসী ছুটছেন তার পিছনে। কেউ তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতে মত্ত। তো কেউ আবার হাতির লেজ ধরে টানাটানি করেই মজা পায়। কিন্তু এহেন ফাজলামি যে প্রা্ণঘাতীও হতে পারে, তা নিয়ে বিলকুল পরোয়া নেই তাঁদের। বনদপ্তরের কর্মীরা পইপই করে সাবধান করলেও তাতে কান দিতে নারাজ তাঁরা। ফলে বড়সড় বিপত্তির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
ঝাড়গ্রাম বনদপ্তর সূত্রে খবর, সম্প্রতি জামবনির তুলিবর এলাকায় একটি স্থায়ী দাঁতাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঝাড়খণ্ড থেকে হাতিটি এসেছে বলে খবর। তবে এই হাতিটি এখনও পর্যন্ত কোনবও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বরং স্বভাবে শান্ত। তবে মাঝেমধ্যে জামবনির লোকালয়ে হানা দিচ্ছে সে। এমনকী বেশ কয়েকবার রেঞ্জ অফিসেও ঢুকে পড়েছে সে। খবর পেয়ে হাতিটি্কে তাড়ানোর চেষ্টা করছে দপ্তরের কর্মীরা। তখনই গ্রামবাসীরা হাতিটিকে উত্যক্ত করছে। ফলে যে কোনও সময় হাতিটি ক্ষেপে পালটা হামলা করতে পারে বলে বনদপ্তরের আশঙ্কা। এ প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের DFO বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, “হাতিটি শান্ত। কিন্তু রেগে গেলে বিপত্তি হতে পারে। তাই গ্রামবাসীদের সাবধান থাকা দরকার। আমি স্থানীয় রেঞ্জারকে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.