Advertisement
Advertisement
মিড-ডে মিল

মিড-ডে মিলে পোকা! তেহট্টের ঘটনার প্রতিবাদে খাবার বয়কট অধিকাংশ পড়ুয়ার

রান্না করতে গিয়ে শনিবার বাধার মুখে পড়েন কর্মীরা।

Villagers stages protest against ICDS centre incharge in Tehatta
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 24, 2019 3:09 pm
  • Updated:August 24, 2019 5:30 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: শনিবারও মিড-ডে মিল নিয়ে শোরগোল জারি রইল তেহট্টে। শুক্রবার তেহট্টের গোপালপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না মিড-ডে মিলে পোকা পাওয়া গিয়েছিল। যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও শনিবার রান্না করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। স্থানীয়রা দাবি তোলেন, প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখলে কোনওভাবেই রান্না করতে দেওয়া হবে না। পরে ফোনে বিডিও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে পিছু হটেন বাধাদানকারীরা। তবে রান্না হলেও মিড-ডে মিল বয়কট করেছেন অধিকাংশ গ্রামবাসীই। 

[আরও পড়ুন:সন্তান প্রসব করতে ৪ ঘণ্টা কাঁধে চেপে সমতলে, আলিপুরদুয়ারের মেয়েকে কুর্নিশ নেটিজেনদের]

ঘটনার সুত্রপাত শুক্রবার। অন্যান্যদিনের মতো এদিনও মা ও শিশুদের জন্য ডাল-ভাত-তরকারি রান্না হয়েছিল তেহট্টের নাটনা গোপালপুর আইসিডিএস সেন্টারে। কিন্তু খেতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রান্না হওয়া ডাল-ভাতে মিলেছে পোকা। সেখানকার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। এমনকী রান্না করা খাবার মুখে দেওয়া যাবে না বলে, ডাল-ভাত ছুঁড়ে ফেলে প্রতিবাদও জানান তাঁরা। অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকা দুটি সেন্টারের চার্জে রয়েছেন। ফলে তিনি এই সেন্টারে ঠিক মতো সময় দেন না। আর সেই কারণেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে রান্নাবান্না হয় না সেখানে।

Advertisement

পোকা প্রসঙ্গে তেহট্ট ১-এর যুগ্ম বিডিও বিধান বিশ্বাস দাবি করেন, রান্নার আগে চালে বা ডালে পোকা ছিল না। রান্নার পর তা পাওয়া গিয়েছে। তাই প্রশাসন যে খারাপ খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে তা বলা যাবে না। ঘটনার উৎসের সন্ধান করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। কিন্তু এরপরও শনিবার স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না করতে গেলে স্থানীয়রা জোট বেঁধে বাধা দেন রাঁধুনিদের। তাঁরা দাবি করেন, প্রশাসনিক কর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবারের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। শনিবারের ঘটনা জানতে পেরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন যুগ্ম বিডিও বিধান বিশ্বাস। তাঁর আশ্বাস পেয়ে তবেই রান্নার অনুমতি দেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন:১১ বছর নিখোঁজ, তামিল যুবককে বাড়ি ফেরালেন হ্যাম রেডিও অপারেটররা]

তবে রান্না হলেও অধিকাংশ গ্রামবাসীই বয়কট করেছেন মিড-ডে মিল। মা ও শিশু নিয়ে ওই স্কুলে মোট ৭৭ জনের নাম নথিভুক্ত থাকলেও, শনিবার মাত্র ছয় থেকে সাতজন খাবার নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিধানবাবু বলেন, সিডিপিও-এর সঙ্গে কথা হয়েছে। বীথিকা গোস্বামী নামে যে কর্মীর বিরুদ্ধে একইসঙ্গে দুটি সেন্টারের চার্জে থাকার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন যুগ্ম বিডিও বিধান বিশ্বাস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement