সৈকত মাইতি, তমলুক: গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা রবিবার সকাল থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁদের অভিযোগ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরের নোংরা জল পাম্পের মাধ্যমে বের করার ফলে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
শুক্রবার রাতভরের বৃষ্টির পর শনিবারের একটানা তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত৷ জল থইথই চারপাশ৷ রবিবারেও এই জলযন্ত্রণার হাত থেকে মেলেনি মুক্তি। এরই মাঝে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমা জলের ফলে সমস্যায় স্থানীয়রা। সূত্রের খবর, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট ৬ টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হত। কিন্তু সংস্কারের জন্য ৪ টি বন্ধ৷ তার ফলে বেশ কিছুদিন ধরে ২টি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলছে।
এর মাঝে ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরে। কিন্তু জলের জন্য কাজে যাতে সমস্যা না হয় সেই কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তরফে ১০ টি পাম্পের সাহায্যে ভিতরে জমে থাকা জল কোলাঘাটের বাপুরখাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। সংকীর্ণ খাল থেকে প্রচুর পরিমাণ জল বের করার ফলে শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ১, আদুলিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এমনিতেই বৃষ্টির জলে নাজেহাল দশা বাসিন্দাদের। তার মাঝে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এই নোংরা জলে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
এরপরই রবিবার সকালে মেছেদার ২ নম্বর থার্মাল গেটের কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রীকৃষ্ণপুর, খানজাদাপুর, শান্তিপুর ১, আদুলিয়ার শতাধিক বাসিন্দা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বর্তমানে বিক্ষোভকারীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিকরা। এ প্রসঙ্গে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন দাস বলেন, ‘আগেই বলা হয়েছিল যে একটি জায়গা থেকে জল বের না করে একাধিক জায়গা থেকে জল বের করা হলে এই সমস্যা হত না।’ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গাফিলতিতেই এই পরিস্থিতি বলে দাবিও করেন তিনি। পাশপাশি এর দ্রুত, স্থায়ী সমাধানের দাবিও জানান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.