সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছে। মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহরার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তার বোনেরও। কারণ, খুনের আগে ও পরে বোনের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিল অভিযুক্ত। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিযুক্তের বোনের শ্বশুরবাড়ির এলাকা অর্থাৎ সাহাপুরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বিকেলে দীর্ঘক্ষণ ধৃতের বোনের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
শেষ ৬ দিন জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে মুর্শিদাবাদ থেকে রামপুরহাট দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ ও সিআইডি। সন্দেহভাজন একাধিককে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কিছুতেই রহস্যভেদ করতে না। সাত দিনের মাথায় অবশেষে রহস্যের জট খুলেছে। বিছানায় পড়ে থাকা বিমার কাগজ থেকে তদন্তকারীদের কাছে স্পষ্ট হয়েছিল উৎপল বেহরা নামে এক ব্যক্তির উপস্থিতি। এরপর সন্দেহভাজনদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর স্পষ্ট আরও হয় ছবিটা। সোমবার রাতে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন যে, উৎপল বেহরাই খুনের সঙ্গে জড়িত। এরপর গভীর রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে উৎপলকে। আটক করা হয়েছে তার বোনকেও।
জানা গিয়েছে, মাঝে মধ্যেই বোনের বাড়িতে আসত উৎপল। খুনের আগে ও পরেও সাহাপুরে বোনের বাড়িতেই ছিল উৎপল। এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, তাঁদের সঙ্গেও পরিচয় ছিল উৎপলের। বোনের বাড়ি গেলে গল্পও করতো তাদের সঙ্গে। সেই পরিচিত ছেলেটি এই নৃশংস খুনের সঙ্গে জড়িত তা ভেবেই শিউড়ে উঠছেন সাহাপুরের বাসিন্দারা। ভাবতেও পারছেন না, কদিন আগেও যে ছেলেটির সঙ্গে কথা হয়েছে, সে ঠান্ডা মাথায় নৃশংসভাবে শেষ করেছে তিনটে জীবন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.