ধীমান রায়, কাটোয়া: যুবককে অকারণে মারধর করেছে পাশের গ্রামের কয়েকজন। এই ক্ষোভে রাস্তা কেটে প্রতিবাদ জানাল প্রহৃত যুবকেরই গ্রামের লোকজন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড হল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার নতুনগ্রাম ও সুদপুর গ্রামে। তবে, এই রাস্তা কাটার ফলে কেবল সুদপুর গ্রামের লোকজনই অসুবিধার মুখে পড়েননি, সমস্যা হচ্ছে নতুনগ্রামের একাংশেরও৷ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারাও৷ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে কোনওপক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়নি।
[ আরও পড়ুন: ফের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এফআইআর মহিলা সমাজকর্মীর ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, নতুনগ্রামে প্রায় ২৪০০ মানুষের বসবাস। সুদপুর গ্রামে জনসংখ্যা ৭ হাজারেরও বেশি। নতুনগ্রামের স্কুল পড়ুয়ারা সুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রও রয়েছে সুদপুর গ্রামে। দুই গ্রামের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ওই একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা। যার আংশিক মোরাম রয়েছে। আংশিক ঢালাই হয়েছে। সুদপুর গ্রামবাসীদের একাংশ কাটোয়া শহরে যাতায়াত করেন এই কাঁচা রাস্তা ধরেই। অন্যথায় এসটিকেকে রোড ধরে যাতায়াত করতে হলে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। নতুনগ্রামের বাসিন্দা ভুলু শেখ নামে এক যুবক তার এক বন্ধুকে বাইকে চাপিয়ে সুদপুরে নামাতে গিয়েছিলেন। রাস্তায় কাদা থাকার কারণে সুদপুরের ওই যুবক বাইক থেকে পড়ে যান। তখনই সুদপুর গ্রামের মুসলিমপাড়ার কয়েকজন ভুলুকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। নতুনগ্রামের বাসিন্দা হাসিবুর মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘ভুলুর কোনও দোষ ছিল না। তাতে অন্যায় ভাবে মারধর করা হয়েছে। পাশাপাশি সুদপুরের লোকজন এই রাস্তায় প্রচুর স্পিডব্রেকার তৈরি করে দিয়েছে। তাতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। তাই আমাদের গ্রামের সকলে প্রতিবাদস্বরুপ রাস্তা কেটে দিয়েছে।”
[ আরও পড়ুন: স্টেশন ছাড়ার পরই খুলে গেল ইঞ্জিন, আতঙ্ক শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসে ]
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নতুনগ্রামের ওই যুবককে মারধরের ঘটনার পরই সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শুক্রবার সকালে নতুনগ্রামের লোকজন রাস্তা কেটে দেন। সুদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের পালটা অভিযোগ, ‘‘নতুনগ্রামের কিছু যুবক বেপরোয়াভাবে বাইক চালায়। তাতে বারবার দুর্ঘটনা ঘটে। নিষেধ করা সত্ত্বেও শোনেনি। তাই স্পিডব্রেকার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।” কাটোয়ার মহকুমাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।”
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.